আলিপুরদুয়ার: হাতির পর এবার লেপার্ডের হানা (Leopard Attack), প্রতিনিয়ত বন্যপশুর তান্ডবে অতিষ্ঠ অলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালচিনি (Kalchini) ব্লকের পানা বস্তি এলাকার বাসিন্দারা। এই এলাকার মানুষদের প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ ও পশুপালন। হাতির তান্ডবে কৃষি জমির ফসল ঘরে তুলতে না পেরে কৃষিকাজ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তারা। এখন হাতির পর বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে লেপার্ড এসে হামলা করেছে বাসিন্দাদের গবাদি পশুর ওপর। ফলে কৃষকাজের পর পশুপালনও করা দায় হয়ে গিয়েছে পানা বনবস্তির বাসিন্দাদের। বাসিন্দারা জানিয়েছে, গভীর রাতে বক্সার জঙ্গল থেকে লেপার্ড এসে গবাদি পশুর উপর হামলা করে, এরূপ ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। খাঁচা বসিয়ে লেপার্ডটিকে খাঁচাবন্দি করার দাবি জানাচ্ছেন তারা।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই এই এলাকায় হাতির তাণ্ডবের কথা উঠে এসেছিল। আলিপুরদুয়ারের কালচিনির (Kalchinir of Alipurduar) পূর্ব সাতালি এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (The Buxa Tiger Reserve) জঙ্গল থেকে হাতি এসে তান্ডব চালাচ্ছে কৃষি জমিতে, যার কারণে চাষবাস ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তারা। বর্তমানে ভুট্টা, সরষা সহ অন্যান্য ফসল চাষের সময় থাকলেও হাতির তান্ডবে (Elephant Attack) কোনও চাষই করতে পারছেন না তারা। তাদের কথায়, এলাকার প্রায় দশজনেরও বেশি কৃষক বর্তমানে চাষ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এখন তা না করতে পারলে কীভাবে সংসার এবং ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা চালাবেন তা নিয়েই চিন্তিত কৃষকরা।
আরও পড়ুন: সদ্যজাতকে বিক্রি করল বাবা-মা! গ্রেফতার দালাল
এলাকায় নিত্যদিন হাতির দলের তাণ্ডব লেগেই থাকে। হাতির দাপটে মাঠের সফল মাঠেই নষ্ট হয়ে যায়। ঘরে কানা কড়িও তুলতে পারেন না। কোনও সময় বেঁচে যাওয়া সফল বিক্রি করেও খরচ ওঠাতে পারে না। হাতির পর নতুন করে লেপার্ডের তাণ্ডবে দুশ্চিন্তার কালো ছায়া নেমেছে এলাকায়। এলাকার কৃষকরা জানিয়েছেন, জঙ্গল ঘিরে বৈদ্যুতিক ফেন্সিং লাগলে লোকালয়ে হাতির প্রবেশ অনেকটাই কমে যাবে। তারা চাষ করতে পারবেন। যদিও এ বিষয়ে হ্যামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জের রেঞ্জার অঙ্কন নন্দী বলেন, ওই এলাকা হাতির করিডরের মধ্যে পড়ে তাই ওখানে হাতির আনাগোনা একটু বেশি হয়। এছাড়া আমরা নিয়মিত টহলদারি চালাচ্ছি এবং কৃষকদের দাবি অনুযায়ী বৈদ্যুতিক ফেন্সিংয়ের প্রস্তাবও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।
আরও খবর দেখুন