কৃষ্ণগঞ্জ: মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রী ও মেয়েদের মারধর(Beating) করে বাড়ি থেকে বের করে নিজের বাড়িতে আগুন(Fire) লাগিয়ে দিলেন এক ব্যক্তি। পুলিশ জানায়, অনির্বাণ সেন নামে ওই ব্যক্তি পেশায় বেসরকারী সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী(Private company security guard)। বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনার পর থেকে পলাতক অনির্বাণ। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের (Nadia’s Krishnaganj) এই ঘটনা ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
পরিবারের অভিযোগ, প্রায়ই নেশা করে এসে বাড়িতে অশান্তি করতেন অনির্বাণ। প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রী এবং মেয়েদের মারধর করতেন। এমনকি নিজের মায়ের কাছ থেকেও জোর করে টাকা আদায় করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে এসেই খাবার দিতে বলেন স্ত্রীকে। খাবার নিয়ে আসার পরই স্ত্রীর উপর চড়াও হন অনির্বাণ। তাঁকে চুলের মুঠি ধরে মারধর করা হয়। মাকে বাঁচাতে এসে মার খায় দুই মেয়েও। এরপর স্বামীর হাত থেকে বাঁচতে দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালান এই মহিলা। অদূরেই থাকেন অনির্বাণের মা। মেয়েদের নিয়ে সেখানেই আশ্রয় নেন অনির্বাণের স্ত্রী।
আরও পড়ুন:Irregular School Attendance | স্কুলে অনিয়মিত হাজিরা, বচসা বাঁধলো অভিভাবক-শিক্ষকদের
এদিকে বাড়ি ফাঁকা থাকায় অনির্বাণ ঘরে আগুন লাগিয়ে দেন। দাউ দাউ করে ঘরের আসবাপত্র জ্বলতে থাকে কিছুক্ষণের মধ্যেই টালির চালের বাড়ি পোড়া ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। দমকল আসার আগেই প্রতিবেশীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। পরে অনির্বাণের বড় মেয়ে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তিথি থানায় বাবার নামে লিখিত অভিযোগ করে। অনির্বাণে বৃদ্ধা মা বলেন, ছেলে রোজই মদ্যপ অবস্থায় মেয়ে-বউদের মারধর করত। পাড়ার লোকজনও জানান, বাড়িতে নিত্যই অশান্তি লেগে থাকত।
তিথি বলে, বাবা রোজ মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে আমাদের মারধর করত।মাকেও ছাড়ত না।প্রতিবাদ করলে চলত অশ্লীল গালিগালাজ।বৃহস্পতিবার রাতে বাবা ঘরে ঢুকে মার কাছে খাবর চায়। মা খাবার দেওয়ার পরই শুরু হয় মারধর। মাকে বাঁচাতে গেলে আমাদেরও মারে বাবা। বাবা মাকে বলে, তোরা আমাকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর ছক কষছিস। এরপরই আমরা তিনজন বাড়ি থেকে পালিয়ে ঠাকুমার কাছে আশ্রয় নিই। পরে খবর পাই বাবা বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে। বাড়ির সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তিথি বলে আমার স্কুলের সমস্ত কাগজপত্র ব্যাগে ছিল বলে সেগুলি রক্ষা পেয়েছে। ভাগ্য ভালো, সেই ব্যাগ নিয়েই বাড়ি থেকে পালাই।