গ্যাংটক : সিকিমের হরপা বানের (Sikkim Flash Flood) জেরে ধস নেমেছে শিলিগুড়ি (Siliguri )থেকে সিকিম যাওয়ার মূল রাস্তা ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। যার ফলে যান চলাচল বন্ধ ছিল বেশ কিছুটা এলাকায়। গত ৩ তারিখ রাতের পর থেকে রংপু থেকে গ্যাংটক (Gangtok) পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা বন্ধ ছিল। মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ১৯ মাইল এলাকায় ধস নেমেছিল। সেই ঘটনার দু’দিন পর শনিবার থেকে ফের একবার চালু হয়ে গেল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ১৯ মাইল দিয়ে যাতায়াত। এই দুদিন গ্যাংটক থেকে শিলিগুড়ি যেতে হলে প্যাকইয়ং হয়ে অনেক ঘুর পথে যেতে হচ্ছিল। তবে সিকিম প্রশাসনের তরফ থেকে আপাতত ওয়ানওয়ে করে এক এক দিকের গাড়ি যেতে দেওয়া হচ্ছে। ওই জায়গাতে নয়, ভেঙে পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে সড়ক যোগাযোগ আপাতত দু’একটি ঘুরপথে যাতাযাত করা হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পাহাড়ে বিশেষ দল পাঠানো হতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাহাড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জিটিএ প্রধান অনীত থাপার আলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।
আরও পড়ুন: যোগেশচন্দ্র কলেজ নিয়ে সিবিআই তদন্তের হুঁশিয়ারি আদালতর
হড়পা বানের জেরে ভেসে গিয়েছে অন্তত ১৪টি সেতু। ভেঙে গিয়েছে শিলিগুড়ি এবং গ্যাংটকের মধ্যে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সেখানের বিভিন্ন এলাকায় অনেকরগুলি রাস্তাও ধসে গিয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত চালু করা হল বিকল্প রাস্তা। এখন শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত ছোট গাড়ি চলবে। শিলিগুড়ি থেকে সেবক, করোনেশন ব্রিজ, গোরুবাথান, লাভা, মুনসং, পেডং হয়ে। অন্যদিকে এই রুটে বড় গাড়ি চলাচল করবে শিলিগুড়ি, গাজলডোবা, ডিমডাম, গোরুমাথান, লাভা, রেনক, রোরাথাং, রানিপুল হয়ে। ফলে আপাতত দুটি রাস্তা খুলল। শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত বাসও চলবে বিকল্প রুটেই বলে জানিয়েছেন সিকিমের পরিবহন দফতরের সচিব এরই মধ্য়ে শুক্রবার থেকে শিলিগুড়িতে দুটি জায়গায় হেল্পডেস্ক চালু করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এনজেপি স্টেশন এবং তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে দুটি হেল্পডেস্ক চালু হয়েছে।