বোলপুর: অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ ওষুধপত্র মজুদ। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতে জেলা আবগারি ও ড্রাগ কন্ট্রোলার আধিকারিকরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৯০৫ লিটার নিষিদ্ধ মেডিসিন উদ্ধার করল। সোমবার বীরভূমের বোলপুর পুরসভার মকরমপুর ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল নেতা পুষ্পেন্দু রায়ের বাড়িতে অভিযান চালায় রাজ্যের আবগারি দফতর। সঙ্গে ছিল ড্রাগ কন্ট্রোলার আধিকারিকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুষ্পেন্দু অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মেডিসিনের ব্যবসা করেন। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে সরকারি ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকানের দীর্ঘদিন তাঁর শেয়ার ছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই নিজের বাড়িতে গণেশ এন্টারপ্রাইজ নাম দিয়ে একটি ওষুধের দোকান চালাচ্ছিলেন। এদিন দুপুরে আচমকাই ড্রাগ কন্ট্রোলার আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে হানা দেয় আবগারি দফতর। বীরভূম জেলার আবগারি দফতরের সুপারিনটেনডেন্ট একলব্য চক্রবর্তী নিজে ছিলেন। প্রথমেই এক্সাইজ বিভাগের আধিকারিক ও কর্মীরা তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘিরে ফেলে। তারপর শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। তৃণমূল নেতার বাড়ির পাশে একটি বাড়ি থেকে ৯০৫ লিটার নিষিদ্ধ ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসিজি করতে এসে মৃত্যু, হাসপাতালে দেহ ফেলে পালানোর অভিযোগ পরিবারের
এ বিষয়ে একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ড্রাগ কন্ট্রোলার আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে আমরা যৌথভাবে অভিযান চালাই। ৯০৫ লিটার নিষিদ্ধ ওষুধ আটক করেছি। এই সমস্ত ওষুধ চোরাইভাবে ঝাড়খণ্ড থেকে আসে। তারপর গোটা জেলা জুড়ে গোপনে বিক্রি করা হয়। এর ফলে যেমন সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়। ঠিক সেরকমই বেআইনি নিষিদ্ধ মেডিসিন সমাজে ক্ষতি করছে।
তৃণমূল নেতা পুষ্পেন্দু অবশ্য বলেন, আমার এখান থেকে কোনও নিষিদ্ধ মেডিসিন উদ্ধার হয়নি। যেখান থেকে পেয়েছে সেটা ওনারা বুঝবেন। আমি মেডিসিনের ব্যবসা করছি দীর্ঘদিন ধরে। বৈধ কাগজপত্র আমার কাছে আছে। ড্রাগ কন্ট্রোলার সমস্ত দফতরের অনুমতি নেওয়া আছে।