দক্ষিণ ২৪ পরগণা: কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি (Kakdwip Superspeciality Hospital) হাসপাতালে প্রথম শিরদাঁড়ার অপারেশন করা হল। এই অপারেশন সফল হয়েছে। রোগীও সুস্থ রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি শিরদাঁড়া ভাঙা অবস্থায় কাকদ্বীপের লট নম্বর আটের কালিকাপুর বাঘের চকের বাসিন্দা শেখ আতিয়ার রহমান হাসপাতালে ভর্তি হন।
এক্সরে করে দেখা যায়, তাঁর এল-৫, এস-১ হাড় ভেঙে গিয়েছে। রোগীর কোমরে প্রচন্ড ব্যথা ছিল। বাম পা তুলতে পারছিলেন না। উঠে বসা তো দূরের কথা, পাশ ফিরতেও পারছিলেন না। এমআরআই (MRI) করে দেখা যায়, শিরদাঁড়ার শিরা গুলি বসে গিয়েছে রহমানের। এই পরিস্থিতিতে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে শুরু হয় চিকিৎসা। পরে কাকদ্বীপ হাসপাতালের তরফে অন্য হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলে, আতিয়ারের স্ত্রী জানান তাঁদের আর্থিক সামর্থ নেই।
এরপর কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জয়দীপ মন্ডল বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে আলোচনা করেন। শেষে হাসপাতালের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কাকদ্বীপ হাসপাতালেই অপারেশন করা হবে। সেইমতো আতিয়ারের স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে শনিবার অপারেশন করা হয়।
আরও পড়ুন: বন্যপশুর তান্ডবে আতঙ্কিত এলাকাবাসি
এ বিষয়ে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অস্থি বিশেষজ্ঞ ডাঃ জয়দেব মণ্ডল জানিয়েছেন, শিরদাঁড়ার এরূপ কঠিন অপারেশন কাকদ্বীপ হাসপাতালে প্রথম করা হল। হাসপাতালে অপারেশনের পরিকাঠামো থাকলেও, সম্পূর্ণ পরিকাঠামো ছিল না। তবে অপারেশন সফল হয়েছে। রোগী সুস্থ রয়েছেন। ব্যথাও অনেক কমেছে। এখন তিনি পা তুলতে পারছেন। আশা করা যায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রোগী হাঁটতে পারবেন। আতিয়ারের স্ত্রী পাপিয়া বিবি জানিয়েছেন, এই কঠিন অপারেশন কাকদ্বীপ হাসপাতালে না করা হলে, আতিয়ারকে সুস্থ করা সম্ভব হত না। কারণ আমাদের দরিদ্র পরিবারে তাকে সুস্থ করার মতো আর্থিক ক্ষমতা ছিল না।
আরও খবর দেখুন