পুরুলিয়া: ১২ বছর ধরে গাছ লাগিয়ে খবরের শিরোনামে ৭৯ বছরের দুখু মাঝি। সবাই তাঁকে ‘গাছদাদু’ নামেই চেনেন। গাছপাগল এই মানুষটিই আজ পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপক।
বাঘমুণ্ডির সিন্ডরি গ্রামের বাসিন্দা দুখু মাঝি ওরফে গাছদাদু। গত ১২ বছর ধরে কয়েক হাজার গাছ লাগিয়েছেন তিনি। তাই সকলে তাঁকে গাছপাগল বলেন। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। ছেলে ও মেয়েকে অনেক কষ্ট করে বড় করেছেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী। চাষবাস করেই জীবন চলে। তাঁর এই গাছ লাগানোর নেশা যে দেশের গর্ব হয় উঠতে পারে, তা কখনও ভাবতে পারেননি তিনি।
দুখু বলেন, খুব ভালো লাগছে। আমার নেশা গাছ লাগানো। এর জন্য আমি পুরস্কার পাব, তা আমি কোনও দিন আশা করিনি। অনেক বছর ধরে গাছ লাগাচ্ছি। শুনেছিলাম গাছ অক্সিজেন দেয়। আর অক্সিজেন না থাকলে মানুষ বাঁচবে না। তাই গাছ লাগাতে শুরু করি। এর ফলস্বরূপ আমাকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। আমি অত্যন্ত গর্বিত।
আরও পড়ুন: গাছে গাছে কথা হয়, গবেষণায় প্রমাণিত
অন্যদিকে মরণোত্তর পদ্মশ্রী সন্মান পাচ্ছেন মুখোশ ও ছৌ নাচ শিল্পী নেপাল সূত্রধর।
পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি চড়িদা গ্রামের বাসিন্দা নেপাল সূত্রধর। পেশায় তিনি ছিলেন একজন মুখোশ শিল্পী। তিনি ছৌ নাচেও ছিলেন পারদর্শী। অনেককে নেপাল ছৌ নাচ শিখিয়েছেন। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে তিনি ৭৫ বছর বয়সে মারা যান।
তাঁর ছেলে কাঞ্চন সূত্রধর জানিয়েছেন, বাবা বেঁচে থাকলে আজ খুব খুশি হতেন। বাবা ১৫ বছর বয়স থেকে মুখোশ তৈরি করে আসছিলেন। তিনি একজন ছৌ নৃত্য শিল্পীও ছিলেন। এই কারণে তিনি পাঁচবার বিদেশেও গিয়েছিলেন। আমরা আজ খুব গর্বিত।
তাঁর মেয়ে দুলালী সূত্রধর ও কল্যাণী সূত্রধর জানিয়েছেন, এই সম্মানে মুখোশশিল্পীদের মান বাড়াল।
আরও অন্য খবর দেখুন