নয়াদিল্লি: নির্ভয়া কাণ্ডের রেশ এখনও পুরোপুরি পুরোপুরি কাটেনি। এরই মধ্যে ন্যক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী থাকল দিল্লি। ৯ বছর বয়সী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক পুরোহিত-সহ ৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ৪ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দাদুর ধর্ষণে গর্ভবতী নাবালিকা, জন্ম দিল পুত্র সন্তানের
ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির নাঙ্গাল শ্মশান এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয় ওই নাবালিকা। মায়ের অনুমতি নিয়েই ঠান্ডা জল আনতে শ্মশান চত্বরে যায় সে। এরপর বেশ খানিকক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু হয় নাবালিকার।
সন্ধ্যা ৬টায় নাগাদ ওই শ্মশানের পুরোহিত রাধে শ্যাম নাবালিকার বাবা-মাকে জানান, জলের কুলারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে মেয়েটি। বাঁ হাতের কবজি এবং কনুইয়ের অংশ পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঠোট নীল হয়ে গিয়েছে, এমনটাই দাবি করেন পুরোহিত।
আরও পড়ুন: ছাত্রকে ধর্ষণ করায় ১১ বছরের কারাবাস মাদ্রাসা শিক্ষকের
নাবালিকার মা সুনীতা দেবী পুলিশ ফোন করে পুরো ঘটনা জানাতে চাইলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। পুরোহিত ছাড়াও আরও দুই ব্যক্তি তাঁদের পুলিশে খবর দিতে বারণ করে। তাঁরা হুমকিও দেয়, পুলিশ কিংবা ডাক্তারদের খবর দিলে ময়নাতদন্তে নাবালিকার অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি চুরি করে নেওয়া হবে। ঘটনায় ভেঙে পড়েন নাবালিকার বাবা-মা।
অভিযোগ, মা-বাবার সম্মতি ছাড়াই পুরনো নাঙ্গাল শ্মশানে নাবালিকাকে দাহ করা হয়। ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নাবালিকার মা জানিয়েছেন, তাঁদের অমতেই মেয়েকে দাহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে ফের নৃশংসতার নজির, বৃদ্ধাকে গণধর্ষণের পর গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুড়ো
প্রতাপ সিং নামে দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে ১০টা তাঁদের কাছে একটি ফোন আসে। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইন ছাড়াও অন্যান্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।