সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং শুভেন্দু অধিকারীর সাক্ষাৎ নিয়ে এবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলের ২ সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ও মহুয়া মৈত্র। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সলিসিটর জেনারেলের বাসভবনে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ দু’জনের এই বৈঠক নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার জেরে তুষার মেহতার অপসারণ দাবি করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দকে পত্র মারফত অভিযোগ জানান তাঁরা। কিছু দিন আগে শুভেন্দু অধিকারী ও তুষার মেহতার এই বৈঠকের ফুটেজ প্রকাশ্যে আনার জন্য দাবি জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার দিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন সুখেন্দু শেখর রায় ও মহুয়া মৈত্র। শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করেই সুখেন্দু শেখর বলেন, ‘কয়েক দিন আগেই বিজেপির এক জন নেতা যে নারদ স্টিং মামলার সঙ্গে যুক্ত, অন্যান্য চিট ফান্ড মামলায় অভিযুক্ত, তিনি দেশের সলিসিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে তাঁর বাসভবনে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং তার ভিডিও ফুটেজে পাওয়া গেছে এবং অনেক সংবাদমাধ্যমে সেই ভিডিও ফুটেজ দেখিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল যে, সেই বিজেপি নেতাকে গাড়ি থেকে রিসিভ করে তুষার মেহতার বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই বিজেপি নেতা প্রায় আধঘণ্টা সলিসিটর জেনারেলের বাসভবনের অফিসে ছিলেন। পরে এ খবর প্রকাশিত হলে তুষার মেহতা ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করেন ট্যুইটারে। সেখানে তিনি লেখেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী কোনো খবর না দিয়েই এসেছিলেন। কিন্তু আমি অন্য মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম বলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। আমার অফিসের কর্মীরা তাঁকে চা খাইয়েছেন। আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে না পারার জন্য ক্ষমা চেয়েছি।’’
তবে তুষার মেহতার এই ব্যাখ্যার কোনও গ্রহণযোগ্যতাই নেই তৃণমূলের কাছে। কেন গ্রহণযোগ্য নেই, তার কারণ হিসাবে সুখেন্দু শেখর জানান, সলিসিটর জেনারেলের বাড়িতে যে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে তার ফুটেজ জনসম্মুখে প্রকাশ করা হোক। তারপর ৭২ ঘন্টা হতে চলল এখনও পর্যন্ত কোন সিসিটিভি ফুটেজ জনসমক্ষে আসেনি। তৃণমূলের আশঙ্কা, সিসিটিভি ফুটেজগুলির ওপর কিছু কারসাজি করা হয়েছে। ফলে তুষার মেহতা শুধু বার কাউন্সিলের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন তা নয়, তিনি প্রফেশনাল এথিক্সকে ভঙ্গ করেছেন। এই বিষয়টিকে ক্রিমিনালস কন্টাক্ট বলা যায়। অতীতে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছিল, যার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল বলে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন সুখেন্দু শেখর রায়।