সংগীত জগতে তথা বলিউডে তিনি শান নামে পরিচিত। শিল্পী আসল নাম শান্তনু মুখোপাধ্যায়। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি ৫০ তম জন্মদিনে পা রাখলেন। পিতা মানস মুখোপাধ্যায় ছিলেন বলিউডের একজন সঙ্গীত পরিচালক। ১৯৭২ সালে মধ্যপ্রদেশের খান্ডয়া তে শান এর জন্ম হয়। ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি তার দিদির সাগরিকার সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু জনপ্রিয় গান গেয়েছিলেন। পরবর্তীকালে হিন্দি ছবির জন্য প্লেব্যাক করেন। তার কিছু অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছে। শান তাঁর জীবনের প্রাথমিক পর্বে টেলিভিশন অনুষ্ঠান দিয়েই কর্ম জীবন শুরু করেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারান। সংসার চালাতে সংগীত জগতে পা রাখেন মা সোনালী দেবী। মাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রথম জীবনে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে জিঙ্গল গাওয়া শুরু করেন শান(Shaan)।
এরপর ১৭ বছর বয়সে ১৯৮৯ সালে ‘পরিন্দা’ ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক(Play Back singer) করেন শিল্পী। এই ছবির প্লেব্যাকেই একটি মাত্র লাইন গেয়েছিলেন শান। পরবর্তীকালে শিল্পীকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে এটা কি ‘সত্যি’? উত্তরে শান বলেছিলেন, “হ্যাঁ, ‘পরিন্দা'(Parinda) ছবির একটি গানে কারোর গোলা ম্যাচ করছিল না। তখন আমার পনেরো ষোল বছর বয়স। স্ক্রিনে ভিডিও দেখে একটি লাইন গিয়েছিলাম। বিধু বিনোদ চোপড়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম। ‘কিতনি হ্যায় পেয়ারি দোস্তি হামারি’ লাইনটি জীবনের একটা মাইলস্টোন হয়ে রইল। সবাইকে বলতে পারি একটা গানের লাইন পঞ্চমদার জন্য গেয়েছি”।
এরপর শান পরিণত গায়ক হিসেবে নিজেকে বলিউডে তুলে ধরেছেন। বাংলা ছাড়াও অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাতেও তিনি গান করেছেন। টেলিভিশনের বিভিন্ন জনপ্রিয় গানের রিয়ালিটি শো তিনি হোস্ট করেছেন।কুমার শানু পরবর্তী যুগে যখন বলিউডের প্লেব্যাক সিঙ্গারদের মধ্যে সনু নিগমে মেতেছিল পুরো দেশ, তখনই উত্তরণ শানের। ওই একই দশকে গায়ক শান শাহরুখ খান থেকে শুরু করে সলমন খান, অজয় দেবগন,সইফ আলি খান, আমির খান,হৃতিক রোশন,অক্ষয় কুমার,শাহিদ কাপুর,অভিষেক বচ্চনের মতো বিভিন্ন বলিউড অভিনেতাদের ছবিতে একের পর এক সুপারহিট গানে কন্ঠ দিয়েছেন। সংগীত জগতে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন শান। ২০০৯ সালে ‘তানহা দিল’ ছবির গানের জন্য তিনি পুরস্কৃত হন। ২০০৪,২০০৭ এবং ২০০৮ সালে শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে জিও সিনে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। এছাড়া দুবার পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ পুরুষ গায়ক হিসেবে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড।