মা হওয়ার স্বাদ মেটাতে হয়েছে এক কন্যাকে দত্তক নিয়ে। সম্প্রতি বেসরকারি চ্যানেলের নন ফিকশন শো ‘ইস্মার্ট জোড়ি’-তে সস্ত্রীক অংশগ্রহণ করেন রূপঙ্কর ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি। সেখানেই নিজেদের জীবনের এই সত্যকে দর্শকের সঙ্গে ভাগ করে নেন রূপঙ্কর বাগচীর স্ত্রী চৈতালি।
ইস্মার্ট জোড়ির ফ্যামিলি স্পেশাল উইকে এপিসোডে যেমন জুটিরা তাঁদের দাম্পত্যের গোপন কথা তুলে ধরেছেন। তেমনই রূপঙ্কর ও চৈতালি শো-এর আসন্ন এপিসোডে নিজেদের এক ইমোশ্যানাল দিক তুলে ধরলেন। সঞ্চালক জিতের সামনে নিজেদের জীবনের এই অত্যন্ত সংবেদশীল একটা সত্যকে তুলে ধরতে গিয়ে গলা ধরে আসে চৈতালির। তাঁর কথায়, “মা হতে চেয়েছিলাম কিন্তু হতে পারিনি, অনেক চেষ্টা করেছিলাম।” এরপর দু’জনে মিলে সন্তান দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপরই মঞ্চে উপস্থিত হয় রূপঙ্কর-চৈতালির কন্যা মহুল। মেয়ের সামনেই চৈতালি বলেন, “প্রথম যেদিন ওকে বলি তুমি আমার গর্ভ থেকে নও বুকে থেকে হয়েছো, ও খুব কেঁদেছিল।”
চৈতালির সংযোজন, “আমি ভীষণ ইমোশনাল আসলে রিয়্যালিটি শো-এর মানেই তো রিয়েল হওয়া। আর প্ল্যাটফর্মটা এতটাই রিয়েল ছিল, যে কথাটা ১৫ থেকে ১৬ বছরে বলতে পারেনি সেটা আমার মনে হয়েছে জানানো দরকার। আসলে আমি কিছু অন্যরকম করার জন্য দত্তক নিয়েছে তেমনটা নয়। আমার মাতৃত্বের আকাঙ্খা থেকেই তখন দত্তক নেওয়া। মহুল আমার কোলে আসার পর ওই বেঁচে থাকার রসদ ছিল।”
আর এই ইস্যুতেই টলিপাড়া দুভাগ। একদলের মতে, আমাদের সমাজ অনেকটাই এগিয়েছে। আর কতদিন আমরা রেখেঢেকে কথা বলবো? এটা তো প্রাপ্মনস্কতার লক্ষণ নয়। খ্যাতনামা ব্যাক্তিত্বরা যত এভাবে মুখ খুলবেন ততই সমাজের মঙ্গল। এক মানুষের মধ্যে দত্তক সম্পর্কে ট্যাবু ধারণা বদলাবে, দত্তক সন্তানকে অন্যরকম চোখে দেখা বন্ধ হবে। এবং সন্তানহীন দম্পতিরা আড়ি বেশি করে আগ্রহী হবেন দত্তক নিতে। আবার বেশ কয়েকজন অভিনেতা অভিনেত্রীর মতে, রিয়ালিটি শো দত্তক নিয়ে আলোচনা করার জায়গা নয়। সকলেই জানেন যে ওটা আসলে ট্রাপ বাড়ানোর জায়গা এবং প্রচার পাওয়ার কৌশল। ফলে উদ্দেশ্যটা কোথাও গিয়ে যেন লঘু হয়ে যায়. আর সবথেকে বড় কথা একজন কিশোর বা কিশোরীকে ভয়ঙ্কর একটা মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়. সেই বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক হওয়া উচিত সকলেরই।