আজ ‘ বিশ্ব দুগ্ধ দিবস’। ২০০১ সাল থেকে পালন হয়ে আসছে এই ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস’। এর জন্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা পয়লা জুন তারিখটি নির্ধারণ করে। এখন বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশ এই দিবস পালন করে। তবে ভারতে ২৬ নভেম্বর, ‘জাতীয় দুগ্ধ দিবস’ পালিত হয়। নিত্য দিনে ব্যবহৃত দুধে হাজারো পুষ্টিগুণ থাকে। আয়রন, সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, নিয়াসিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ফোলেট, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, প্রোটিনসহ বিভিন্ন উপাদান আছে। সেই কারণেই দুধ খাওয়ার পর এমন বিশেষ কয়েকটি খাবার আছে যেগুলি খেলে আপনার শরীরে ক্ষতি হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- দুধ খাওয়ার পর কোনো ভুল খাবার খেলে ক্লান্তিবোধ, বমি, ডায়রিয়া ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগতে হয়। যেমন ডিম ও দুধ। ডিম্ আর দুধ কখনই একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। ভুল করেও ডিম ও দুধ একসঙ্গে খাবেন না। দুধের সঙ্গে যে কোনও তেলে ভাজা খাবার খেলে মারাত্মক প্রভাব পড়ে শরীরে। এ কারণেই ডিম আর দুধও একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়।
- সকালের নাস্তায় পাউরুটি, ডিম, কলা ও দুধ অনেকেই খান। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শুরু করে পেটের যাবতীয় সমস্যা বাড়ে কলা ও দুধ খেলে। এমনকি হজমেরও সমস্যা হয়।
- দুধ ও টকদইয়ের মেলবন্ধনেও ক্ষতি হয় শরীরের। কারণ এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে হজম হয় না। টকদইয়ের সঙ্গে কখনো গরম খাবার খাওয়া উচিত নয়।
- মাছ বা মাংসের কোনও পদ খাওয়ার পর দুধ খাবেন না। কারণ দুধ শরীর ঠান্ডা রাখে। মাছ-মাংস অর্থাৎ আমিষজাতীয় খাবারের সঙ্গে দুধ খেলে শরীরে অ্যালার্জি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
- ভুল করেও দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই লেবুর রস বা শরবত খাবেন না। দুধ পান করা ঘণ্টাখানেকের মধ্যে কখনো টকজাতীয় খাবার খাবেন না। এতে এসিড হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর থেকে পেটের সমস্যা বাড়ে।
- দুধের সঙ্গে লবণ ব্যবহার করলে এর প্রোটিনগুলো কমে যায়। অনেকেই স্বাদ বাড়াতে দুধের সঙ্গে লবণ মেশান। তবে এই ভুল করলে দুধের প্রোটিন শরীরে ঢুকবে না।
- পেঁয়াজের সঙ্গেও দুধ একেবারেই খাবেন না। এতে চুলকানি ও সংক্রমণের সমস্যা বাড়তে থাকে।
- তরমুজ খাওয়ার পরপরই কখনো দুধ পান করবেন না। দুধ একটি রেচক হিসেবে কাজ করে ও তরমুজে মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য আছে।