বাঙ্গুর: দশ দিনের মধ্যে বাঙ্গুরের বৃদ্ধা খুনের কিনারা করল বিধাননগর পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর থেকে গ্রেফতার ১। ধৃতের নাম দীনেশ প্রসাদ। তাঁর কাছ থেকে মহিলার মোবাইল ফোন এবং বেশকিছু সোনার গয়না উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারের পর আদালতে তুলে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় অভিযুক্তকে। এরপর রবিবার ধৃতকে নিয়ে পুলিশ বাঙ্গুরের ওই বৃদ্ধার ফ্ল্যাটে যায়। গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। ধৃত দীনেশ প্রসাদ পুলিশকে দেখায় কিভাবে ওই ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল। কিভাবে ওই বৃদ্ধাকে খুন করে সব কিছু।
আরও পড়ুন- ‘ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখুন,’ দলের মহিলা কাউন্সিলর সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য দিলীপের
গত ২১ তারিখ বাঙ্গুর বি ব্লক থেকে এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে লেক টাউন থানার পুলিশ। হত্যার পর লুঠপাটও চালায় অভিযুক্ত। ঘর থেকে খোয়া যায় বেশকিছু সোনার গহনা ও মহিলার মোবাইল ফোন। এরপরই ঘটনার তদন্ত শুরু করে বিধাননগর গোয়েন্দা শাখা এবং লেক টাউন থানার পুলিশ। ফরেনসিকের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায় গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে ওই ৬২ বছরের মহিলাকে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সনাক্ত করা হয় এক যুবককে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে দু বছর আগে মহিলার সঙ্গে অভিযুক্ত দীনেশ প্রসাদের মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে পরিচয় হয়। ওই হোটেলে কাজ করত অভিযুক্ত। মৃত বৃদ্ধা ৪ দিন আগে তার ফ্ল্যাটে কাজ করানোর জন্যে নিয়ে আসেন ৩৮ বছরের দীনেশ প্রসাদকে। ঘটনার পর থেকেই যুবকের ফোনটি বন্ধ ছিল। খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে বলে জানিয়েছে মৃত বৃদ্ধার ছেলে অভিযোগ জানায়।
আরও পড়ুন-দিবালোকে বিরোধী দলের যুব নেতাকে ২০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে খুন, চাঞ্চল্য
অবশেষে ১০ দিনের মাথায় সেই ঘটনার কিনারা করলো বিধাননগর গোয়েন্দা শাখা এবং লেক টাউন থানার পুলিশ। বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর এলাকায় হানা দেয় লেকটাউন থানার পুলিশ। সেখান থেকেই অভিযুক্ত দীনেশ প্রসাদকে গ্রেফতার করে লেকটাউন থানার পুলিশ। জেরায় ধৃত দীনেশ প্রসাদ বৃদ্ধা খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে। তার সঙ্গে আরও একজন ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে অভিযুক্ত। বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় দ্বিতীয় ব্যক্তির খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালাচ্ছে লেকটাউন থানার পুলিশ।