কলকাতা: রবিবার তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ। লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃমমূলের জনগর্জন সভা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। একাধিক দুর্নীতি থেকে সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে অনেকটাই চাপে শাসক শিবির। একের পর এক অভিযোগ এনে শাসকদলকে ব্য়াকফুটে রেখেছে বিরোধিরা। এই আবহে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ব্রিগেডে জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল। প্রধান বক্তা হিসেবে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল ওই সভা থেকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কর্মীদের উদ্দেশে কী বার্তা দেন, সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের।
ধীরে ধীরে সেজে উঠেছে গোটা ব্রিগেড চত্বর। রয়েছে অনেক চমকও। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে কর্মীদের দুয়ারে পৌঁছতে তৈরি করা হয়েছে ৩৩০ ফুটের র্যাম্প। সভাতে সরাসরি কর্মীদের কাছে পৌঁছনোর জন্য তৈরি করা হয়েছে এই বিশাল র্যাম্প। স্টেজের উপরে বক্তব্য রাখতে রাখতে সরাসরি দশেকের মাঝে পৌঁছে যাবেন মমতা, অভিষেক সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-১৮)
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল মঞ্চ থেকেই বক্তব্য দেওয়ার জন্য দূরের কর্মীরা তাদের প্রিয় নেতৃত্বের সামনাসামনি দেখার সুযোগ পেতেন না। সে কারণে এবার কর্মীদের মাঝে পৌঁছতেই ৩৩০ ফুটের লম্বা একটি বিশাল র্যাম্প করা হয়েছে। ব্রিগেডের মূল মঞ্চ দুটি ধাপে করা হয়েছে। ৭২ ফুট/ ২৪ ফুটের দুটি মঞ্চ। স্টেজের সামনাসামনি দর্শকের দিকে সোজা একটি র্যাম্প চলে গিয়েছে, যার দৈর্ঘ্য ৩৩০ ফুট লম্বা।
এই ৩৩০ ফুটের মাঝখানে আরও দুটি র্যাম্প হয়েছে। যা মঞ্চের ডানদিকে ও বাঁদিকে ১২৬ ফুট করে। ৩৩০ ফুটের র্যাম্প যেখানে শেষ হয়েছে সেখানে রয়েছে ৩২ ফুটের গোলাকার আরও একটি মঞ্চ। এর দু’পাশে দুটি করে ভিআইপি মঞ্চ। মূল মঞ্চের পাশাপাশি ভিআইপি মঞ্চেও থাকছে বিশাল এলইডি স্ক্রিন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আলাদা আলাদা জোনে ভাগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন শিক্ষামন্ত্রী
গোটা ব্রিগেড চত্বর কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মূল মঞ্চ সহ র্যাম্পে লোহার ব্যারিগেট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জোনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। তবে এবার ব্রিগেডের মূল আকর্ষণ এই র্যাম্প। এই র্যাম্প সাধারণত কোনও বড় বড় কনসার্টে করতে দেখা যায়। যে ব়্যাম্পের মাধ্যমে গান গাইতে গাইতে দর্শকের মাঝে পৌঁছে যান গায়কেরা। এবার রাজনৈতিক ইতিহাসে এই প্রথম তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ব়্যাম্প করা হয়েছে ব্রিগেডে। এই র্যাম্পের মাধ্যমে সরাসরি যেমন নেতৃত্ব কর্মীদের কাছে পৌঁছে যাবেন, ঠিক তেমনি কর্মীরা তাঁদের প্রিয় নেতাদের কাছাকাছি থেকে তাদের মুঠোফোন দিয়ে ক্যামেরা বন্দি করে রাখতে পারবেন।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: