প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোঁচা দিল কংগ্রেস। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইটে মন্তব্য করেছেন, ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালে এখন পর্যন্ত রাহুল গান্ধী দুটি সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। তৃতীয় সাংবাদিক বৈঠকটি হবে খুব শীঘ্রই। তবে তার জন্য সাংবাদিকদের কোনও ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট দিতে হবে না। জয়রাম আরও লিখেছেন, রাহুলের সাংবাদিক বৈঠকে কোনও টেলিপ্রম্পটারও ব্যবহার করা হবে না।
প্রসঙ্গত, আগামিকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হিমাচলপ্রদেশে যাবেন দশেরা উপলক্ষে। তার জন্য রাজ্য প্রশাসন একটি সার্কুলার জারি করে বলেছে, এই অনুষ্ঠান কভার করতে হলে সাংবাদিকদের চরিত্র শংসাপত্র দেখাতে হবে। তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিতর্কের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত প্রশাসন ওই সার্কুলার প্রত্যাহার করে নেয়।
আরও পড়ুন: Amit Shah: ভাষাভিত্তিক সম্প্রদায়ও পাবে সংরক্ষণের সুবিধা, জম্মুতে ঘোষণা অমিত শাহের, বন্ধ ইন্টারনেট
কংগ্রেস হিমাচলপ্রদেশ সরকারের সেই সিদ্ধান্তকেই খোঁচা মেরেছে। জয়রাম রমেশ জানিয়ে দিয়েছেন, রাহুল গান্ধীর সাংবাদিক বৈঠকে ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট লাগবে না সাংবাদিকদের। তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে টেলিপ্রম্পটারও ব্যবহৃত হয় না। প্রধানমন্ত্রী কখনও সাংবাদিক বৈঠক করেন না। তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা কর্মসূচিতে তাঁর জন্য টেলিপ্রম্পটারের ব্যবস্থা থাকে।
প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক না করলেও কংগ্রেস নেতারা কিন্তু সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রায়ই মিলিত হন। ইউপিএ জমানার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সাংবাদিক বৈঠক একেবারে করতেন না, এমন নয়। তিনি মাঝে মাঝে সাংবাদিক বৈঠক করতেন। তা নিয়ে বিজেপি খোঁচা দিতে ছাড়েনি। তিনি কেন সাংবাদিক বৈঠক করেন না, সেই প্রশ্ন তুলে বিজেপি তখন বাজার মাত করার বহু চেষ্টা করেছে। কংগ্রেস এখন পাল্টা দিতে ছাড়ছে না। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান কভার করতে গেলে সাংবাদিকদের অনেক হ্যাপায় পড়তে হয়। নানান তথ্য জমা দিতে হয়। তবে আজ পর্যন্ত তাঁর অনুষ্ঠান কভার করার জন্য ক্যারেক্টার সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়নি সাংবাদিকদের। আগামিকাল তাও দিতে হত। তবে শেষে চাপে পড়ে বিজেপিশাসিত হিমাচলপ্রদেশ সরকার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। যদিও কংগ্রেস সে ব্যাপারে বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি।