কলকাতা: রাত পোহালেই মহারণ। শনিবার রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote)। তার আগে বাকি রয়েছে একটি রাত (Night)। এই রাতেই দুষ্কৃতীরা (Miscreant) তাদের যাবতীয় অপকর্ম চালাতে পারে। বাড়ি বাড়ি শাসানি, হুমকি দেওয়া তো রয়েছে। তাই এই রাতের দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশ প্রশাসন তথা নির্বাচন কমিশনকে (State Election Commission)। এমনই বললেন সিপিএমের (CPM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (MD Salim)। শুক্রবার তিনি বলেন, আজ রাতের ওপর নির্ভর করবে, আগামী দিনের নির্বাচনের চেহারা কী হবে। এই কাল রাতের জন্য কড়া নজরদারি চালাতে হবে পুলিশ (Police) ও প্রশাসনকে। একইসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, দুর্নীতির (Corruption) চক্র না ভাঙলে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও কিছু হবে না। বিপদকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে আর কী হবে? কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) কেন্দ্র বাহিনী (Central Force) দেওয়া নিয়েও গড়িমসি করেছে।
গণতন্ত্রকে শেষ করার জন্য রাজ্যপালকে (Governor) ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও মনে করেন মহম্মদ সেলিম। এদিন তিনি এই বিষয়ে বলেন, সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাজ্যপাল। তাতে রাজ্যের কিছু লাভ হচ্ছে? তাহলে লাভ কী? গণতন্ত্রের (Democracy) পরীক্ষা (Examination) নেবেন না! বাঁচান গণতন্ত্রকে। মানুষের জেদ বাড়ছে। মানুষই তার প্রতিবাদ (Protest) করবে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | Central Force | শেষ লগ্নে পানাগড়ে পৌঁছল ৪৮৫ কোম্পানি
এদিন সেলিম অভিযোগ তুলেছেন, যেখানে মস্তান নেই, এক জায়গা থেকে সেই জায়গায় মস্তান চালান করা হবে। সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে পুলিশকে। ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন সমস্ত সিসিটিভি (CCTV) সক্রিয় রাখতে হবে। করতে হবে রিপোর্ট সংরক্ষণ। নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক অধিকার হারাচ্ছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে হয়, সাধারণ মানুষ ও প্রার্থী এবং ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে নির্বাচন কমিশনকে সব দায়িত্ব নিতে হবে।