শিবসেনার আইনি নিয়ন্ত্রণ কোন গোষ্ঠীর হাতে থাকবে তা চূড়ান্ত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের হাতে যেন না যায় সে ব্যাপারে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরেরা। মঙ্গলবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দিল। নির্বাচন কমিশনকে ওই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্তে বালাসাহেব পুত্র এবার দলের নিয়ন্ত্রণও খোয়াতে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের আশঙ্কা।
বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দখল করার পর একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী নিজেদের প্রকৃত শিবসেনা বলে দাবি করে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে। পাল্টা চালে শিন্ডে অনুগামী বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ এবং শিবসেনার পতাকা ও নির্বাচনী প্রতীক পাওয়ার দাবিতে পৃথক আবেদন করেছিল উদ্ধব গোষ্ঠী। সুপ্রিম কোর্ট ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছিল, মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত যেন এব্যাপারে তারা কোনও পদক্ষেপ না করে। কিন্তু মঙ্গলবার ঠাকরে গোষ্ঠীর আবেদন খারিজ করে সেই ক্ষমতা দেওয়া হল নির্বাচন কমিশনকে।
শিবসেনার নিয়ন্ত্রণ কোন পক্ষের হাতে থাকবে তা নিয়ে উদ্ধব এবং শিন্ডে গোষ্ঠীর আইনি লড়াইয়ের নিষ্পত্তির জন্য জুলাই মাসে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গড়েছিল শীর্ষ আদালত। এরপর শিন্ডে শিবিরের তরফে মামলার দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন জানান হয়। তা না হলে দলের আইনি নিয়ন্ত্রণ কোন গোষ্ঠীর হাতে থাকবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না নির্বাচন কমিশন।
অন্য দিকে, উদ্ধব শিবিরের আইনজীবী কপিল সিব্বল মঙ্গলবার আদালতে জানান, দলবিরোধী কাজের অভিযোগে শিন্ডে সহ বিদ্রোহী বিধায়কদের পদ খারিজের মামলার শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত যেন কমিশনকে শিবসেনার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আবেদনের শুনানির অনুমতি না দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, নির্বাচন কমিশন যদি আগেই শিন্ডে গোষ্ঠীকে শিবসেনার আইনি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া হয় তবে বিধায়ক পদ খারিজের দাবির মামলা গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। কিন্তু পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সে যুক্তি খারিজ করে জানিয়ে দেয়, এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে নির্বাচন কমিশন।