নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার কাবুলে বিস্ফোরণের পেছনে আইসিসেরও হাত রয়েছে বলে মনে করছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। মধ্য এশিয়ায় ও তারপর ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানো তাদের অন্যতম লক্ষ্য। আগামী দিনে ভারতে খিলাফত প্রতিষ্ঠাই এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অন্যতম লক্ষ্য বলেই মনে করছে ভারতীয় গোয়েন্দারা।
মুম্বাই ও কেরালা থেকে ইতিমধ্যেই প্রচুর সংখ্যক যুবক আইসিসে যোগদান করেছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করছে সংস্থাগুলি।
আরও পড়ুন: আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের সমস্যা মেটাক ভারত-পাকিস্তান, পরামর্শ তালিবানের
এই উদ্দেশ্যে আগামী দিনে নিজেদের স্লিপার সেলস গুলোকে সক্রিয় করে তোলার পরিকল্পনা করছে আইসিস। এমনটাই দাবি গোয়েন্দাদের। আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থান আইসিসি অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির কাছে সেই দেশটি একটি স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। বলা যেতে পারে, আফগানিস্তানকে ঘাঁটি করেই আগামী দিনে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের জিহাদ ঘোষণা চেষ্টা করবে মধ্য এশিয়ার এই কুখ্যাত জঙ্গিগোষ্ঠীটি। গোয়েন্দাসূত্রে আরও জানানো হয়েছে, মুম্বাই হামলায় অভিযুক্ত ভারতবিরোধী পাক জঙ্গিগোষ্ঠীর লস্কর-ই-তৈবাও আগামী দিনে আফগানিস্তানের হেলমন্দ ও কুনার প্রদেশে নিজেদের অবস্থান শক্ত করবে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে ২০১৪ সালে আইসিসি উপস্থিতি প্রথম পরিলক্ষিত হয়। সেই সময় তাঁদের বেশ কিছু বর্বরতার ঘটনাও নজরে আসে গোয়েন্দাদের।
আরও পড়ুন: ISIS বাধা দিলেও আফগানিস্তানে মিশন শেষ করবে আমেরিকা, হুঁশিয়ারি পেন্টাগনের
বর্তমানে আফগানিস্তানে শুধু তালিবানি নয়। আইসিস জঙ্গিগোষ্ঠী ছাড়াও বেশকিছু উজবেক ও পাক জঙ্গিগোষ্ঠী ও আফগানিস্তানের রয়েছে বলে মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি। সেগুলি আগামীদিনে ভারতের বিরুদ্ধে সক্রিয় হতে পারে বলে মনে করছে গোয়েন্দারা।