একানব্বই বছরের ঐতিহাসিক ইরফান হাবিব (Historian Irfan Habib) তাঁকে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন, তিনি তাঁর প্রমাণ দেবেন, এই দাবি করেই বেঙ্গালুরুতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের ডেকেছিলেন কেরলের রাজ্যপাল (Kerala Governor) আরিফ মহম্মদ খান (Arif Mohammed)। প্রমাণ অবশ্য তিনি দিতে পারেননি। তবে আরএসেএস কত দেশপ্রেমিক তা প্রমাণ করতে তিনি এমন সব দাবি করলেন, যেসব দাবি অতীতেই ভিত্তিহীন বলে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।
আরিফ মহম্মদ খান বলেন, দেশের বিভিন্ন রাজভবনে এমন সব ব্যক্তিরা রয়েছেন যাঁরা আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর উপর আক্রমণের চেষ্টা হয়েছে বলে তিনি ২০১৯ সলের একটি অনুষ্ঠানের যে সব ছবি দেখান সাংবাদিকদের, সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি আলোচনা সভায় শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আর পিছনে দাঁড়িয়ে ইরফান হাবিব। আরিফ মহম্মদ খান সিএএ-র সমর্থনে বক্তব্য রাখলে ওই দিন পড়ুয়ারা এবং শিক্ষকদেরও কেউ কেউ তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সেই ঘটনা নিয়েই রাজ্যপালের দাবি তাঁকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। আরএসএসের গুণগান করতে গিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন আরএসএস কি দেশপ্রেমিক সংগঠন নয়? তার পর তাঁর বক্তব্য, ১৯৬২ সালে চিন যখন ভারত আক্রমণ করেছিল তখন আরএসএসের সমর্থকরা সীমান্ত এলাকায় যে কাজ করেছিলেন তা দেখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ১৯৬৩-র প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন স্বয়ংসেবক সদস্যদের। প্রসঙ্গত এই দাবি আরএসএস ২০১৮ সালেও করেছিল। তখন সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে আরটিআই করে মোদী সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, জওহরলাল নেহরুর আরএসএসকে আমন্ত্রণ জানানোর দাবি ঠিক কি না? উত্তরে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল এমন কোনও তথ্য সরকারের কাছে নেই।
নতুন করে ফের এই দাবি করে কেরলের রাজ্যপাল সম্ভবত বুঝিয়ে দিলেন, অসত্য তথ্যও ক্রমাগত বলে গেলে কিছু মানুষকে তা বিশ্বাস করানো সম্ভব।