এলাহাবাদ: যমরাজ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে- মহিলাদের হেনস্তা করলে কী পরিণতি হবে সেই কথা শোনালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। উত্তরপ্রদেশে (Uttarpradesh) একটি শ্লীলতাহানির ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অপরাধীদের গুরুতর পরিণতির জন্য সতর্ক করলেন। তা বলতে গিয়ে মৃত্যুর দেবতা যমরাজের (Yamraj) কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। উযোগী আদিত্যনাথ রবিবার বলেছেন কেউ যদি রাজ্যে মহিলাদের হয়রানির মতো অপরাধ করে যমরাজ তার জন্য অপেক্ষা করবে।
শ্লীলতাহানির জেরে এক ছাত্রী প্রাণ হারিয়েছে। দুই মোটরসাইকেল আরোহী যুবক তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ওড়না টানে। সেই কারণে সাইকেল থেকে পড়ে যায় ওই ছাত্রী। আম্বেদকরনগরে ওই ঘটনায় অন্য একটি মোটরসাইকেল চালক পড়ে যাওয়ার পরে তাকে ধাক্কা দেয়। শুক্রবার ওই ঘটনা ঘটেছে এবং শনিবার রাতে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে যে অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এবং রবিবার হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় একজনের পা ভেঙেছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত মামলা নিয়ে আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ২১ সেপ্টেম্বর
জেলায় ৩৪৩ কোটি টাকার ৭৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পরে একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ওই কথা বলেন। আদিত্যনাথ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এবং জোর দেন, কাউকে আইনের অপব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। সিসিটিভি ফুটেজে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী এবং অন্য একটি মেয়েকে সাইকেল চালাতে দেখা যায়। সেসময় একটি দ্রুতগামী বাইক পেছন থেকে তার কাছে আসে। এবং বাইক আরোহী তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তার ওড়না টেনে নেয়। ভারসাম্য হারিয়ে মেয়েটি মাটিতে পড়ে যায়। এবং পেছন থেকে আসা অন্য একজন বাইক চালক তাকে চাপা দেয়। অভিযুক্তরা হল সেহবাজ এবং তার ভাই তৃতীয় আসামি ফয়সাল। অভিযুক্ত ভাইদের ও ফয়সালের মধ্যে কোনও সম্পর্ক আছে কি না তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আম্বেদকরনগরের পুলিশ সুপার অজিত সিনহা রবিবার বলেছেন, তিন অভিযুক্তকে রবিবার মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিনজন গাড়ি থেকে লাফ দেয়। তারা একটি পুলিশের রাইফেলও ছিনিয়ে নেয় এবং আমাদের দলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন তাদের পায়ে বুলেটে জখম হয়েছে এবং তৃতীয়জনের একটি পা ভেঙেছে। তিনজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধারা ৩০২ (হত্যা) এবং ৩৫৪ (একজন মহিলার শালীনতাকে ক্ষুব্ধ করার জন্য আক্রমণ) এবং পকসো (যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা) আইনে মামলা করা হয়েছে।