মেদিনীপুর: কর্মবিরতির সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষকে ঘিরে মঙ্গলবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে উথল পশ্চিম মেদিনীপুর (Medinipur) শহরে জেলাশাসকের দফতর। এদিন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সমর্থকরা কর্মবিরতিতে শামিল হন। পরে মঞ্চের তরফে মিছিল বার করা হয়। এদিকে তৃণমূলের সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনও (Federation) তিন শতাংশ ডিএ (Dearness Allowance)-এর ঘোষণায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে পাল্টা মিছিল করে। জেলাশাসকের দফতর চত্বরে দুই মিছিল মুখোমুখি হতেই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়।
দু’পক্ষের মধ্যে বচসা ও কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি-মারামারি শুরু হয়ে যায়। ধর্মঘটের সমর্থক ও বিরোধী উভয় পক্ষই একে অপরের দিকে তেড়ে যায়। চলে যথেচ্ছ কিল, চড়, লাথালাথিও। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ (Police) রীতিমতো হিমশিম খায়। বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয়।
যৌথ মঞ্চের তরফে গঙ্গাধর বর্মণ বলেন, তৃণমূল (TMC) সমর্থক কর্মচারীরা মিছিল করে এসে আমাদের উপর হামলা করে। অনেক মহিলাকেও লাথি মারা হয়েছে।
আরও পড়ুন: DA Pen Down: হাইকোর্ট প্রায় অচল, তৃণমূলের হুমকি, হাতাহাতির সাক্ষী থাকল স্কুল-ডিএম অফিস
তৃণমূলের সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের জেলা সভাপতি শীতলপ্রসাদ বিদ জানান, ধর্মঘট সমর্থকরায় তাঁদের সমর্থকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হামলা করে। তাঁর দাবি, মিছিলে যারা ছিল, তারা কেউ সরকারি কর্মী নয়। তারা সিপিএমের হার্মাদ। এই হার্মাদরাই হামলা চালিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ (DA)-এর দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সোমবার এবং মঙ্গলবার সরকারি অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজে কর্মবিরতি পালন করে। অধিকাংশ জেলায় এই কর্মবিরতি সাড়া ফেলেছে বলে যৌথ মঞ্চের দাবি। রাজ্যসরকার কর্মবিরতি রুখতে কড়া নির্দেশিকা জারি করে। তাতে বলা হয়, এই দুদিন কেউ ছুতি নিতে পারবে না। ছুটি নিলে বা অনুপস্থিত থাকলে চাকরিতে ছেদ পড়ে যাবে। আরও বলা হয়, এই দুদিন অনুপস্থিস থাকলে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্তারা কর্মচারীদের শোকজ করবেন। সেই শোকজে জবাব সন্তোষজনক না হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের বীরুধে কঠোর আয়ইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু সেই সরেকারি হুমকি উপেক্ষা করে বহু জায়গায় সরকারি কর্মচারী, শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে শামিল হয়েছেন।