শারজা: টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের জন্য পাকিস্তানকে বধ করল আফগানিস্তান। শুক্রবার ভারতীয় সময়ে রাত ৯:৩০টায় শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হয়। ১৩ বল বাকি থাকতেই আফগানিস্তান ৯৩ রানের টার্গেটে পৌঁছে যায়। এরই সঙ্গে প্রথমবার টি-২০ পাকিস্তানকে হারিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা।
গতবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের পর এই প্রথম টি-টোয়েন্টির কোনও ম্যাচে খেলতে নামল পাকিস্তান। অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ২-১ সিরিজ জিতে শুক্রবারের ম্যাচে নামে আফগানিস্তান। যদিও পাক অধিনায়ক বাবর আজম সহ পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার এই সিরিজে খেলছেন না। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট তাঁদের বিশ্রাম দিয়েছে। তা সত্ত্বেও, পাকিস্তানের মতো হেভিওয়েট দলের আফগানিস্তানের কাছে হারা যথেষ্ট বিস্ময়ের।
আরও পড়ুন:WPL 2023 | পিছিয়ে নেই মেয়েরাও, প্রত্যাশা মতোই ফাইনালে মুম্বই-দিল্লি
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান। মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকির দাপটে শুরুতেই বেকায়দায় পড়ে পাক ব্যাটাররা। আফগান অধিনায়ক রশিদ খানও এক উইকেট নেন। শেষ পর্যন্ত নয় উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে মাত্র ৯২ রান করে পাকিস্তান। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ রান ইমাদ ওয়াসিমের ১৮।
৯৩ রান তুলতে গিয়ে প্রথমদিকেই হিমশিম খেতে হয়েছিল আফগান ব্যাটারদের। মাত্র ২৭ রানের মাথায় ৩ উইকেট পড়ে যায় তাদের। রহমতুল্লা গুরবাজ , ইব্রাহিম জারদান, গুলাবদিন নায়েবের পরে করিম জন্নতও নেমেই আউট হয়ে যান। মাত্র সাত রান করে করিম জন্নত ফিরে যান। এরপর ক্রিজে নেমে দলের হাল ধরেন মহম্মদ নবি। ৩৩ বলে ৩৮ রান করে দেশকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যান তিনি। প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কারও জিতেছেন এই অলরাউন্ডার।
গত বছর এশিয়া কাপে পাক বাহিনীর কাছে হারতে হয়েছিল আফগানিস্তানকে। শারজাতেই আয়োজিত ওই ম্যাচে ১২৯ রান করেছিলেন আফগান ক্রিকেটাররা। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে কোনও রকমে জিতে যায় পাকিস্তান। শেষ ওভারে দুটি ছয় মেরে খেলা শেষ করেছিলেন পাকিস্তানের নাসিম শাহ। এরপরই স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু’দেশের সমর্থকরা। এই জয় আফগান সমর্থকদের ক্ষততে মলম দেবে তা বলাই বাহুল্য। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে টি-২০ ক্রিকেটে অঘটনের অভাব নেই। এই সেদিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।