কলকাতা: দুই ছেলের বিয়ে উপলক্ষে ছত্রধর মাহাতকে সাতদিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিল এনআইএ আদালত। মেয়াদ শেষ হওয়ায় শুক্রবার ফের বিশেষ এনআইএ আদালতে হাজিরা দিলেন ছত্রধর। অসুস্থ তৃণমূল নেতার জামিনের মেয়াদ আরও কিছুদিন বাড়ানোর জন্য আদালতে আবেদন করতে চলেছেন ছত্রধরের আইনজীবী। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুনানির সম্ভাবনা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাঁকে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ছত্রধরকে রাত ১১টা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল।
সারারাত অক্সিজেন চলার পর শুক্রবার সকাল থেকে খানিকটা সুস্থ বোধ করেন তিনি। স্ত্রী নিয়তি মাহাতো রিস্ক বন্ডে হাসপাতাল থেকে ছত্রধর মাহাতকে ছাড়িয়ে নিয়ে রওনা দেন কলকাতার দিকে। নিয়তি জানান, চিকিৎসকরা যা বলার বলেছেন। রিস্ক বন্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আদালতে হাজিরা দিয়ে অনুমতি পেলে এসএসকেএম বা অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হতে পারে।
গত শুক্রবার শর্তসাপেক্ষে জামিন পান ছত্রধর মাহাত৷ তাঁর সাতদিনের প্যারোল মঞ্জুর করে আদালত৷ দুই ছেলের বিয়েতে যোগ দিতে প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন ছত্রধর৷ প্রমাণ হিসেবে ছেলেদের বিয়ের কার্ড জমা করেছিলেন৷ সেই মতো ২ জুলাই থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত তাঁর প্যারোল মঞ্জুর হয়৷ জেল থেকে ছাড়া পেয়ে শনিবার ঝাড়গ্রামের লালগড় থানার আমলিয়া গ্রামের বাড়ি ফেরেন ওই তৃণমূল নেতা৷ দুই ছেলের বিয়েতে যোগ দেন ছত্রধর মাহাত৷ ৩ জুলাই ছিল তাঁর বড় ছেলে ধৃতিপ্রসাদ এবং ৫ জুলাই ছিল ছোট ছেলে দেবীপ্রসাদের বিয়ে৷ গতকাল প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছিল৷ বিয়ে মিটতে না মিটতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ছত্রধর৷
বেআইনি কার্যকলাপে অভিযুক্ত ছত্রধরকে ২০২০ সালে জেল থেকে মুক্তি দেয় তৃণমূল সরকার৷ এরপর তিনি যোগ দেন তৃণমূলে৷ শাসকদলের রাজ্য সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়৷ তবে গতবছর বিধানসভা ভোটের সময় তাঁকে গ্রেফতার করে এনআইএ৷ দুটি পুরনো মামলায় ছত্রধরকে গ্রেফতার করা হয়৷ তারপর থেকে এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি তিনি৷