নয়াদিল্লি: তীব্র দূষণের (Air Pollution) জেরে দিল্লিতে (New Delhi) শীতের ছুটি (Winter Break) এগিয়ে আনল সরকার। এমনিতেই বায়ুদূষণের কারণে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত স্কুল ছুটি দিয়েছিল সরকার। আগামী ১০ তারিখ পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়েছিল আপ (AAP) সরকার। এবার শীতের ছুটি এগিয়ে নিয়ে এসে ৯-১৮ নভেম্বর স্কুল বন্ধের নোটিস দিল সরকার। দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি যেভাবে ক্ষতিকর মাত্রায় পৌঁছেছে তাতে সরকার চরম অস্বস্তিতে পড়েছে। তবে এই পরিস্থিতি কেবলমাত্র রাজধানী নয়, নাসার উপগ্রহ চিত্রে (NASA Worldview Satellite) দেখা যাচ্ছে, বিষাক্ত ধোঁয়াশা (Toxic Smog) ছড়িয়ে রয়েছে পাকিস্তান থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত।
এই ধোঁয়াশার মূল কারণই হল ফসলের গোড়া পোড়ানোর ফলে। উপগ্রহ চিত্রের তথ্যও সেই কথাই জানিয়েছে। নাসার তথ্যে জানা গিয়েছে, গত ২৯ অক্টোবর থেকে ফসলের গোড়া পোড়ানোর ধোঁয়া বাড়তে শুরু করেছে। চলতি মরসুমে ওইদিন ১০৬৮টি কৃষিক্ষেত্রে আগুন জ্বালানো হয়। একদিনে ওটাই ছিল সর্বোচ্চ সংখ্যা। এর ফলে বাতাসে ৭৪০ শতাংশ নাড়া পোড়ানোর ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে নাসার সূত্র বলছে।
আরও পড়ুন: বিয়ের পর রোজ রাতে…মন্তব্যে ক্ষমা চাইলেন নীতীশ
বুধবার বাতাসে দূষণের পরিমাণ সূচক (AQI) ৫০০-র কাছাকাছি ছিল দিল্লির কিছু এলাকায়। যার ফলে এদিন নিয়ে গত ৬ দিন ধরে রাজধানী শহর বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। সে কারণে দিল্লিতে দূষণরোধী নির্দেশিকার স্টেজ ৪ প্রয়োগ করা হয়েছে। তারই নির্দেশিকা মেনে স্কুল পড়ুয়াদের গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতও এই ভয়াবহ দূষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন। সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থান সরকারকে দ্রুত কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দূষণ ঠেকাতে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে। আদালত বলেছে, বায়ুদূষণ নিয়ে রাজনৈতিক যুদ্ধকে আসকারা দেওয়া চলবে না। শ্বাসবায়ু কেড়ে নেওয়াকে জনস্বাস্থ্য হত্যার শামিল বলে সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে, জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। অন্যদিকে, এদিনই যমুনা নদীতে ছট পুজোর অনুমতি চেয়ে একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। সেক্ষেত্রেও দূষণজনিত কারণে যমুনাকে বাঁচাতে আদালতের এই সিদ্ধান্ত।
অন্য খবর দেখুন