বসিরহাট: শেষ সম্বল দুকাঠা জমি। সেই জমি বড় ছেলের নামে লিখে দিতে নারাজ মা। তাতেই মাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর বড় ছেলে ও তাঁর নাতির। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি মা। ঘটনা বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার আমলানি গ্রামের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর ৬০-র রেনুকা মণ্ডলের দুই ছেলে। বড় ছেলে শম্ভু মন্ডল পেশায় শ্রমিক। বৃদ্ধার পরিবারে বৌমা, নাতি ও তাঁর ছোট ছেলেকে নিয়ে সংসার। তিন বছর আগে তাঁর স্বামী বুদ্ধেশ্বর মন্ডল মারা যায়। তাঁর শেষ সম্বল দু কাঠা জমি। ছোট ছেলে নিত্যানন্দ মণ্ডল, চাকরির জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা দিচ্ছে। একমাত্র রোজগার বড় ছেলের। তবে সেভাবে তিনি দেখেন না মাকে। এমনকী খেতেও দেন না তিনি। এমনকী কর্মহীন ছোট ভাই কেউ কোনো রকম সাহায্য করেনা। বৃদ্ধা লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন।
বৃদ্ধা রেনুকার দুকাঠা জমি তাঁর বড় ছেলেকে লিখে না দেওয়ায় চলে লাগাতার শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। এই ঘটনা সহ্য করতে না পেরে রেনুকা তাঁর ছোট ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই খবর বড় ছেলে শম্ভু জানতেই চড়াও হয় মা ও ভাইয়ের উপর। শম্ভু ও তাঁর ছেলে মিলে বৃদ্ধাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর ও লাঠিপেটা শুরু করে। বাধা দিতে গেলেও ভাইকেও মারধর করে শম্ভু। নিজের জীবন বাঁচাতে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় নিত্যানন্দ। অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তার ধারে পড়ে থাকে ওই বৃদ্ধা। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং ছোট ছেলে গিয়ে উদ্ধার করে তাঁকে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। তাঁর মাথায়, হাতে গুরুতর আগাত লাগে।
আরও পড়ুন: Cyclone Asani: সকাল থেকেই মুখ ভার আকাশের, শক্তি হারিয়ে এগোচ্ছে অশনি
বড় ছেলে শম্ভুর নামে হাসনাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বৃদ্ধা। পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও করেন তিনি। ইতিমধ্যে শম্ভুকে আটক করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিস।