শ্রদ্ধা ওয়ালকার (Shraddha Walker) খুনের ঘটনায় কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে অভিযুক্তকে। বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। অবশ্য এতদিন পরে কেন অমিত শাহ মুখ খুললেন সেই প্রশ্ন নানা স্তরে উঠতে শুরু করছে। মঙ্গলবার ওই মামলার তদন্ত সিবিআইয়ের (CBI) হাতে দেওয়ার আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। বিচারপতি সতীশ শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার জানিয়ে দেয়, দিল্লি পুলিশ(Delhi Police) তদন্ত করছে। তদন্তে আদালত নজরদারি চালাবে না।
অন্যদিকে, দিল্লির সাকেট আদালত মঙ্গলবারই শ্রদ্ধার প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালার (Aaftab Poonawala) পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ বাড়ায়। এদিন সকালে আফতাবকে আদালতে হাজির করা হলে আরও ৪ দিন তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়াও পুলিশের আর্জি মাফিক আদালত আফতাবের পলিগ্রাফ পরীক্ষারও (Polygraph Test) অনুমতি দেয়। বৃহস্পতিবার সেই পলিগ্রাফ টেস্ট হয়।
আবার বান্ধবীকে নৃশংসভাবে খুনে অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা নাকি পুলিশের কাছে দায় স্বীকার করেনি। মঙ্গলবার আফতাবের আইনজীবী অবিনাশ কুমার একথা জানিয়েছিলেন। যদিও পুলিশের দাবি, আফতাব পুনাওয়ালা খুনের দায় স্বীকার করেছে। প্রসঙ্গত, নিজের বান্ধবীকে খুনের পর দেহটি ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে পুরে রেখেছিল আফতাব। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের(Police) দাবি, আফতাব খুনের দায় স্বীকার করেছে। আফতাব জানিয়েছে, মাথা গরম হয়ে যাওয়ায় নিজের বান্ধবী শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে খুন করেছে সে।
কিন্তু পুলিশ ও আফতাবের আইনজীবীর বক্তব্য মিলছে না। বরং বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। উপরন্তু তদন্তে পুলিশের (Police) সঙ্গে আফতাব সহযোগিতা করছে না এমন অভিযোগই উঠেছে। অবশ্য আফতাবের আইনজীবী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আফতাব পুলিশকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করছে। আর সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আফতাব ও তার আইনজীবীর পরস্পরবিরোধী বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।