যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকট নিয়ে এবার সরাসরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনীদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানালেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। গত ২৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের উদ্দেশ্যে খোলাখুলি তাঁর আবেদনে উপাচার্য জানিয়েছেন, সকলেই নিশ্চয়ই এই বিষয়ে অবগত আছেন যে নানা বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও তাঁদের এক সময়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখনও শিক্ষাগত ক্ষেত্রে তাঁদের উৎকর্ষতা বজায় রেখে চলেছে।
ওই প্রসঙ্গে উপাচার্য উল্লেখ করেছেন, ২০২২ সালের এনআইআরএফ তালিকায় দেশের সব কটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চতুর্থ স্থানে আছে যাদবপুর। আর রাজ্য স্তরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে আছে প্রথম স্থানে। সম্প্র্তি প্রকাশিত বিশ্ব মানের শিক্ষা বিষয়ক সমীক্ষা কিউএস ওয়ার্ল্ড তালিকায়ও দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে আছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আর ওই প্রসঙ্গেই সুরঞ্জন দাস অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে জানিয়েছেন, গত বেশ কিছুদিন ধরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার স্বাভাবিক উৎকর্ষতা বজায় রাখার জন্য তাঁদের নানা প্রচেষ্টায় আর্থিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত বাধাবিপত্তির মুখোমুখি হচ্ছে। বিশেষত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে পঠনপাঠন আর গবেষণার ক্ষেত্রে।
একইসঙ্গে ওই প্রকাশ্য আবেদনে জানানো হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে তাঁদের অর্থের জন্য কেন্দ্র এ রাজ্য সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়। কিন্তু দুতরফেই যে পরিমাণ অর্থ পাঠানো হচ্ছে তা নেহাতই অপ্রতুল। ঠিক সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় যে তার প্রাক্তনীদের দ্বারস্থ হয়েছেন তা জানাতে ভোলেননি উপাচার্য। সংক্ষেপে সুরঞ্জন দাসের বক্তব্যের নির্যাস, কোভিড পরিস্থিতিতে তাঁদের কাছ থেকে যেমন সহায়তা পেয়েছিলেন একইভাবে এগিয়ে আসুন প্রাক্তনীরা, বজায় থাকুক যাদবপুরের পঠনপাঠনের মান।