নয়াদিল্লি: মাঝে দু’দিনের ব্যবধান৷ আবার ভারতে হানা দিল মাঙ্কিপক্স৷ এবার ৩১ বছরের এক ব্যক্তি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন৷ এর আগে ভারতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত তিনজনের সন্ধান পাওয়া যায়৷ তাঁদের প্রত্যেকের বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস ছিল৷ কিন্তু চতুর্থ ব্যক্তি বিদেশ বিভুঁইয়ে যাওয়ার কোনও ইতিহাস পাওয়া যায়নি৷ পশ্চিম দিল্লির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি বর্তমানে মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি৷
মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ভারতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা চারে পৌঁছে গিয়েছে৷ এর আগে ১৪ জুলাই ভারতে প্রথম মাঙ্কিপক্স ধরা পড়ে৷ তারপর ১৮ ও ২২ জুলাই আক্রান্ত হন আরও দু’জন৷ ওই তিনজনই কেরলের বাসিন্দা৷ বাইরে থেকে আসার পরই তাঁরা আক্রান্ত হন মাঙ্কিপক্সে৷ কিন্তু দিল্লির বাসিন্দা চতুর্থ সংক্রমিত ব্যক্তি কখনও বাইরে যাননি৷ কীভাবে তিনি সংক্রমিত হলেন সেটাই এখন জানার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা৷ এদিকে অল্প সময়ের ব্যবধানে ভারতে পরপর মাঙ্কিপক্সের হানাদারিতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ ভারতে প্রথম মাঙ্কিপক্স হানা দিতেই কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়৷
এদিকে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্সকে গতকালই গ্লোবাল হেলথ ইর্মাজেন্সি বা পৃথিবীর জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে হু৷ মাঙ্কিপক্সের লক্ষণগুলি সাধারণত জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ঠান্ডা লাগা এবং ক্লান্তি থেকে শুরু হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয় এবং সংক্রমণের পাঁচ থেকে ২১ দিনের মধ্যে যে কোনও জায়গায় উপসর্গ দেখা দিতে পারে। একবার মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে জ্বর হলে, প্রথমে বসন্ত রোগের মতোই একটি দুটি করে গুটি দেখা যায় শরীরে। এক থেকে তিন দিন পর তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুখ থেকে শুরু হয়ে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে৷