কলকাতা: বহুকাল আগে মহামতি গোখলে বলেছিলেন, হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে, ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো। ভারতীয় ক্রিকেটে যেন সেই কথাটাই ফের প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে (GCA) ইডেন মডেল অনুসরণ করার পরামর্শ দিলেন সিএবি (CAB) প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (Snehashis Ganguly)। দেশের মধ্যে একমাত্র ইডেন গার্ডেন্সেই (Eden Gardens) বৃষ্টি হলে পুরো মাঠ ঢেকে ফেলার ব্যবস্থা আছে। ২০২৩ বিশ্বকাপের সময় নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে (Narendra Modi Stadium) সেই ব্যবস্থাই করা হোক, বললেন স্নেহাশিস।
সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হয়ে গেল আইপিএল (IPL 2023) ফাইনাল। প্রবল বৃষ্টিতে নির্ধারিত দিনের খেলা ভেস্তে যায়। রিজার্ভ ডে-তে খেলা হলেও সেদিনও বিঘ্ন ঘটায় বৃষ্টি এবং দ্বিতীয় ইনিংস হয়ে যায় ১৫ ওভারের। অল্প বৃষ্টিতেই মাঠের একদিকে জল জমে বেশ ভালোই। মাঠকর্মীরা স্পঞ্জ, জলের বালতি, হেয়ার ড্রায়ার নিয়ে নেমে পড়েন। তাঁদের কঠিন পরিশ্রমে ম্যাচ আবার শুরু হয়, তবে অনেকটা সময় নষ্ট হয় এবং পাঁচ ওভার বাদ চলে যায়।
আরও পড়ুন: Brij Bhushan Sharan Singh | সাক্ষী-বিনেশ-বজরংদের পদক বিসর্জন নিয়ে কী বললেন অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ
ইডেনের মতো পুরো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা থাকলে পুরো ম্যাচটাই খেলা হত এবং সময় নষ্ট হত কম। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী এবং ফাইনাল খেলা হবে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। স্নেহাশিস বললেন, ফাইনালে দেরি হওয়ার কারণ ধারের দিকের পিচ ভিজে গিয়েছিল। এটা নতুন স্টেডিয়াম, আমি নিশ্চিত ঠিক সময়ে এসব সংশোধন করা হবে। বড় কোনও সমস্যা নয়। যদি মাঠ পুরোটা ঢাকা যায় তবে এই সমস্যা আর হবে না।
স্নেহাশিস আরও বলেন, এটা শিক্ষার একটা প্রক্রিয়া, শিখতে হবে প্রত্যেক দিন। আমি নিশ্চিত ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে ব্যবস্থা হয়ে যাবে। যদি ইডেনের মতো জিসিএ-র পুরো ঢাকার সুবিধা থাকে, এই ধরনের সমস্যা আর হবে না।
এদিকে বিশ্বকাপে ইডেনের ভালো ম্যাচ পাওয়া নিয়ে আশাবাদী সিএবি সভাপতি। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল এবং একটি সেমিফাইনাল হওয়ার মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। অতীতে আইসিসি আয়োজিত প্রতিযোগিতার বেশ কিছু বড় ম্যাচ হয়েছে ইডেনে। সাম্প্রতিকতম হল ২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল। প্রসঙ্গত, এবারের আইপিএলের সেরা মাঠ হিসেবে ওয়াংখেড়ের (Wankhere Stadium) সঙ্গে যুগ্মভাবে নির্বাচিত হয়েছে ইডেন।