নয়াদিল্লি: কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যে তাঁর সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের সংঘাত চলছে। এবার শীর্ষ আদালতে জামিনের আবেদন আর জনস্বার্থ মামলা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর। বুধবার রাজ্যসভায় একটি বিলের সংশোধনী নিয়ে আলোচনায় সংসদে আইনমন্ত্রী জানিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্টের মত একটি সাংবিধানিক সংস্থার কখনই জামিন (Bail Application) বা অন্যান্য কোনও তুচ্ছ কারণে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার (PIL) শুনানির আবেদন গ্রহণ করা উচিত নয়।
দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের তীব্র সংঘাত চলছে কলেজিয়াম (Collegium) ব্যবস্থা নিয়ে। ওই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা কোনওভাবেই মানতে নারাজ শীর্ষ আদালত। দীর্ঘদিন ধরেই কলেজিয়াম পদ্ধতির বিকল্প হিসাবে ন্যাশনাল জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন গঠের পক্ষপাতী কেন্দ্র। আইনজীবীদের একটা অংশ মনে করেন কমিশন গঠনের মাধ্যমে বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসতে পারে।
কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) নিজেই কলেজিয়াম ব্যবস্থার সমালোচনা করেন। পাল্টা শীর্ষ আদালতের নতুন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়ে দেন কেন্দ্রের ওই অবস্থান তাঁরা কোনওভাবেই মেনে নিচ্ছেন না। আর বুধবার রাজ্যসভায় তাঁর বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর যুক্তি দেশে বকেয়া মামলার সংখ্যা অসংখ্য। আর এহেন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের অন্তত জামিনের আবেদন বা তুচ্ছ কারণে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানি না গ্রহণ করাই বাঞ্ছনীয়।
কলেজিয়াম পদ্ধতির বিকল্প হিসাবে ন্যাশনাল জুডিসিয়াল কমিশন গঠনের উদ্দেশ্যে গত শুক্রবার রাজ্যসভায় একটি বেসরকারি বিল আনেন সিপিএম সাংসদ (CPM MP) বিকাশ ভট্টাচার্য। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত এবং স্বচ্ছ ভাবে সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ এবং বিচারপতিদের বদলি এই কমিশনের অধীনে করা সম্ভব বলে তিনি রাজ্যসভায় সওয়াল করলে বহু সদস্য তাঁকে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু বিরোধী আম আদমি পার্টির সদস্য রাঘব চাড্ডা (Raghav Chadda) এই বিলের বিরোধিতা করে জানান, তাঁরা চান কলেজিয়াম পদ্ধতিই থাকুক।