নয়া দিল্লি: দক্ষিণ ভারতের পাহাড় চূড়ায় থাকা তিরুপতি মন্দিরের (tirupati temple) সম্পত্তির পরিমাণ টাকার অঙ্কে দেশের একাধিক নামজাদা বহুজাতিক সংস্থার থেকেও বেশি। এমনকী দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যের প্রতি বছরের বাজেট বরাদ্দও তার চেয়ে কম।
কোটি কোটি ভক্তের দানে প্রতিবছর ওই মন্দিরের সম্পত্তি (property) বাড়ছে। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম বা সংক্ষেপে টিটিডি (ttd) হল ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের এই মন্দিরগুলির পরিচালন সমিতি। ১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই প্রথম ওই সমিতি মন্দিরের সম্পত্তির পরিমাণ ঘোষণা করল। সব কিছু মিলিয়ে তাদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২.৫ লক্ষ কোটি টাকার (2.5 lakh crore) বেশি।
আরও পড়ুন Bade Miyan Chote Miyan : ফ্লোরে আসছে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’
তিরুপতির বিখ্যাত ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের (lord venkateshwar) ওই সম্পত্তির মধ্যে ব্যাঙ্কে জমা আছে ১০.২৫ টন সোনা। তাছাড়া ২.৫ টন স্বর্ণালঙ্কার। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে নগদ ১৬ হাজার কোটি টাকা। সারা দেশে সব মিলিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের ৯৬০টি সম্পত্তি। ওই মন্দিরের সম্পত্তির এতটা বাড়বাড়ন্ত ভক্তদের বাড়ি, টাকা ও গয়নার দানে।
স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, বেঙ্গালুরু ভিত্তিক উইপ্রোর মোট ব্যবসা ২.১৪ লাখ কোটি টাকার। আল্ট্রাটেকের ১.৯৯ লক্ষ কোটি টাকা। সুইশ বহুজাতিক সংস্থা নেসলের ভারতীয় ইউনিটের ১.৯৬ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা ওএনজিসি, আইওসি, এনটিপিসির ব্যবসার পরিমাণ ওই মন্দিরের সম্পত্তির চেয়ে কম। রিয়েল এস্টেট ফার্ম ডিএলএফ, গাড়ি নির্মাতা মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা, টাটা মোটর্সও তার নীচে রয়েছে।
শুধুমাত্র ব্যাঙ্কে জমানো টাকা থেকে মন্দিরের সুদ বাবদ আয় হয় ৬৬৮ কোটি টাকা। এই টিটিডির অধীনে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, হরিয়ানা, ওড়িশা, নিউ দিল্লিতে মন্দির রয়েছে।
একটি সংস্থা সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে মাত্র ২৪টি কোম্পানির মার্কেট ভ্যালু ওই মন্দিরের সম্পত্তির চেয়ে বেশি। তার মধ্যে আছে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। যার ব্যবসার বাজারদর ১৭,৫৩ লক্ষ কোটি টাকা। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসের মার্কেট ভ্যালু ১১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকা।