ভ্যাকসিন নিলে হতে পারে শারীরিক সমস্যা। মারণ ভাইরাসের থাবা রুখতে মানব চুম্বকের ভুয়ো তথ্যে তোলপাড় এখন সোশ্যাল মিডিয়া। এমনটাই গুজব ছড়িয়েছে নেট মহলে। এই গুজবে কান দিয়েই এতদিন ভ্যাকসিন নিচ্ছিলেন না যৌনকর্মীরা। কিন্তু কোভিড মোকাবিলায় ভ্যাকসিন ছাড়া উপায় কোথায় ? ফলে অহেতুক আতঙ্ক থেকে যৌনকর্মীদের বের করে আনতে মঙ্গলবার রাস্তায় নামলেন দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন।
মঙ্গলবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুপার স্প্রেডারদের তালিকায় থাকা দুর্গাপুরের যৌনকর্মীদের পাড়ায় পাড়ায় শুরু হয় এই অভিযান। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক, দুর্গাপুরের নগর নিগম ও পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের সাথে খোদ মহকুমা শাসক শেখর কুমার চৌধুরী পৌঁছে গেছিলেন কাদারোড এলাকায় যৌন কর্মীদের পাড়ায়। বোঝালেন কেন এই ভ্যাকসিন প্রয়োজন। এই কর্মসূচির তত্বাবধানে ছিলেন মহকুমা শাসক শেখর কুমার চৌধুরী।
Read more যৌনপল্লীর ‘দুয়ারে’ করোনার টিকা
তাঁদের এই অভিযানে সাড়া পেয়ে এগিয়ে আসেন বহু যৌনকর্মী। একইসঙ্গে ভ্যাকসিন নিতেও সম্মতি জানান অনেকেই । গত মাসের ২২তারিখ করোনার প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ হয়েছিল দুর্গাপুরের কাদারোড এলাকার যৌন পল্লীতে । কিন্তু সেবার ৮০০ জনের মধ্যে মাত্র ৯০ জন করোনার ভ্যাকসিন নেন। বাকিরা শারীরিক অসুস্থতার ভয়ে পেশায় প্রভাব পড়বে ভেবে ভ্যাকসিন নেননি ।কিন্তু কেন এই ভ্যাকসিন নেওয়া প্রয়োজন তা বোঝাতেই সশরীরে পৌঁছে যান দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডক্টর ধীমান মন্ডল। যৌন কর্মীদের উদ্ভূত করে তোলেন ভোকাল টনিকের মাধ্যমে। ফলে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এই সদর্থক ভূমিকা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। পাশাপাশি যৌন কর্মীদের সুখ দুঃখ দেখার জন্য গঠিত দুর্বার মহিলা সমিতির পক্ষ থেকেও সাধুবাদ জানানো হয় জেলা প্রশাসনকে।