শীতকালে অনেকেই নলেন গুড়ের পায়েস বা মিষ্টি খেয়ে থাকেন। তবে আপনি কি জানেন, আখ কিংবা খেজুরের রস থেকে তৈরি করা এক প্রকারের মিষ্টদ্রব্য এটি। আখ, খেজুর এবং তাল গাছের রস ঘন করে পাক দিয়ে গুড় তৈরি হয়। বিভিন্ন ধরণের গুড় পাওয়া যায় বাজারে। ঝোলা গুড়, ভেলি গুড়, চিটে গুড়, নলেন গুড় (খেজুর গুড়), পাটালী গুড় (জমাট বাঁধা), হাজারী গুড় (সাদা খেজুর গুড়)। এই গুড়ের উপকারিতা জানেন?
গুড়ে থাকা পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ফরফরাস, কপার, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ আপনার শরীরকে উষ্ণ এবং সতেজ করবে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় গুড়। খালি পেটে গুড়ের জল খেলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন গুড়ের জল খেলে পেটের সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। সর্দি ও কাশি কমায় এবং মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। শ্বাসনালী, ফুসফুস, খাদ্যনালী, পাকস্থলী ও অন্ত্র পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে গুড়। মেয়েদের ঋতুকালীন ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। হাড়ের ব্যথাও কমায় গুড়।
আরও পড়ুন: পালং শাক খাওয়া কতটা উপকারী জানেন?
তবে পরিমিত পরিমাণে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। যারা ডায়াবেটিক বা ওজন কমানোর ডায়েট অনুসরণ করছেন, তাদের কম মাত্রায় গুড় খাওয়া উচিত।
অ্যানিমিয়া আক্রান্তদের জন্য গুড় দারুণ উপকারী। রোজ গুড় খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের উৎস হতে পারে গুড়। শরীরে গুড়ের মিষ্টত্ব কখনওই মধুমেহ বা ব্লাড সুগার লেভেল বাড়িয়ে তোলে না। গুড়ে থাকা ম্যাঙ্গানিজ গলা খুশখুশ, শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে। গুড়ে থাকা আয়রন শরীরে রক্ত তৈরি করে, রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। মাইগ্রেনের ব্যথা সারিয়ে তুলতেও দারুণ কাজে লাগে গুড়। জন্ডিস রোগীকে গুড় খাওয়ানো উপকারী।
আরও অন্য খবর দেখুন