সেরা হওয়ার প্রতিযোগিতা কত ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা আরও একবার প্রমাণ হল পুদুচেরির একটি ঘটনায়। সেই প্রতিযোগিতার মাসুল দিতে হল এক কিশোরকে। তাতে জড়িয়ে গিয়েছে অন্য এক সহপাঠীর মায়ের নাম। পুদুচেরির কারাইকালের ওই ঘটনায় অভিযুক্তকে পুলিশ সোমবার গ্রেফতার করছে। ওই ঘটনা সামনে আসায় তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্র্রের খবর, সব সময় ক্লাসে প্রথম হত অষ্টম শ্রেণির বালামনিকন্দন। সেই কারণে তার প্রতি হিংসা ছিল স্কুলের দ্বিতীয় স্থান অধিকার করা পড়ুয়ার মায়ের। পুলিশের দাবি, সেই প্রতিহিংসার থেকেই ওই পড়ুয়ার মা ভিক্টোরিয়া সাহায়ারানি কার্যত ঠান্ডা মাথায় খুন করেন বালামনিকন্দনকে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গত শুক্রবার স্কুলের ভিতরেই একটি অনুষ্ঠানের জন্য অনুশীলনে ব্যস্ত ছিল পড়ুয়ারা। সেই সময় স্কুলের এক প্রহরীকে দিয়ে বালামনিকন্দনের জন্য দুই বোতল ঠান্ডা পানীয় আনা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, ভিক্টোরিয়াই নিজেকে বালামনিকন্দনের মায়ের পরিচয় দিয়ে ওই প্রহরীর মাধ্যমে ঠান্ডা পানীয় পাঠিয়েছিলেন স্কুলে। সরল মনেই সে ওই পানীয় খেয়ে বাড়ি গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বেশ কয়েকবার বমিও করে বালামনিকন্দন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়।
পরিবারের লোকজন জানান, শনিবার ফের বালামনিকন্দন অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ওই রাতেই মারা যায় সে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়না তদন্তে মৃতের পাকস্থলিতে বিষ পাওয়া গিয়েছে। স্কুলের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ভিক্টোরিয়াই ওই পানীয় পাঠিয়েছেন। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তিনি সব কিছু স্বীকার করে নেন। পানীয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে বালামনিকন্দনকে অসুস্থ করিয়ে দেওয়ার ছক ছিল তাঁর, যাতে স্কুলের ওই অনুষ্ঠানে সে যোগ দিতে না পারে। পুলিশের কাছে নাকি ভিক্টোরিয়া এও জানান, বিষয়টা যে এত বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যাবে, তা তিনি আন্দাজ করতে পারেননি। এই ঘটনায় স্কুলে পড়ুয়াদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।