নয়াদিল্লি: শহরের চাহিদা বাড়ছে। সেই চাহিদা পূরণেই এবার দেশে আরও ৮টা নতুন শহর (New City) গড়ে তোলা হবে। এমনই পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। দেশের নির্দিষ্ট কিছু শহরে ক্রমশই জনসংখ্যা (Population) বাড়ছে। আশেপাশের ছোট শহর, গ্রাম থেকে দিল্লি, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, মুম্বইয়ের মতো বড় শহরে এসে বসবাস করতে শুরু করছে সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে জনসংখ্যার বিপুল চাপ কমাতে মোদি সরকার ৮টি নতুন শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনার বিবেচনা করেছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক এমনটাই জানিয়েছেন।
নতুন শহরের সপক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন ইউনিয়ন আবাসন ও নগর বিষয়ক বিভাগের জি২০ ইউনিটের পরিচালক এম বি সিং। তিনি জানান, ‘অর্থ কমিশনের সুপারিশের পরেই, রাজ্যগুলি ২৬টি নতুন শহরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। সেই তালিকা থেকে বেছে বেছে আটটি নতুন শহর গড়ে তোলার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। আপাতত পুরোটাই পরিকল্পনা ও বিবেচনার অধীনে রয়েছে। পরে সেই নতুন শহরগুলির অবস্থান এবং গড়ে তোলার সময়সীমা নিয়ে ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন:Calcutta High Court | Primary Teachers Recruitment | এখনই বাতিল হচ্ছে না ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি
তিনি আরও জানান, বর্তমান যে শহরগুলি রয়েছে, সেগুলি নাগরিকদের চাহিদা মেটাতে পারছে না। আর সেই কারণেই, আমাদের দেশে নতুন নতুন শহর গড়ে তুলতে হবে। বিদ্যমান শহরগুলির সীমানা এলাকার বিস্তার এলোমেলো। এর ফলে শহরগুলির মৌলিক পরিকল্পনা প্রভাবিত হচ্ছে। নতুন শহর গড়ে উঠলে, তা তার আশেপাশের অন্তত ২০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাজের সংখ্যা বৃদ্ধি করবে। যদিও এই নয়া শহর স্থাপনের আর্থিক রোডম্যাপ এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে প্রধান ভূমিকা পালন করবে বলে জানান এম বি সিং।
উল্লেখ্য, ভারতের জনসংখ্যা বর্তমানে ১৪২.৮৬ কোটি এবং চিনের জনসংখ্যা ১৪২.৫৭ কোটি। ১৯৯০ সালে, ভারতের জনসংখ্যা ছিল ৮৬.১০ কোটি। সেই তুলনায় চিনের জনসংখ্যা ছিল ১১৪.৪০ কোটি। গত বছর ১৪২.৬০ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে চিন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হয়ে উঠেছিল। ভারতের জনসংখ্যা ছিল ১৪১.২০ কোটি। রাষ্ট্রসংঘের ২০২২ সালের হিসেব অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা ১৬৬.৮০ কোটিতে পৌঁছবে। যা চিনের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ, সেই সময় চিনের জনসংখ্যা কমে হবে ১৩১.৭০ কোটি।