মালদহ: রেলের অমৃত ভারত প্রকল্পের অনুষ্ঠান মঞ্চে বিজেপির একাধিক নেতাকে সংবর্ধনা। হরিশ্চন্দ্রপুরে (Harishchandrapur) অমৃত ভারত নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা। রেলকে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে পরিণত করে দিয়েছে বিজেপি, অভিযোগ বিরোধীদের। লোকসভা নির্বাচনের আগে রেল নিয়ে জেলায় চড়ছে রাজনীতির পারদ। মালদহ রেলকে প্রচারের হাতিয়ার করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। মালদহ থেকে চালু হয়েছে বন্দে ভারত এবং অমৃত ভারত এক্সপ্রেস। ইতিমধ্যেই মালদহ টাউন সহ অনেক গুলো স্টেশন অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার সারা দেশের ৫৫৪টি স্টেশনের সঙ্গে বাংলায় ১৭টি স্টেশন অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হল। এর মধ্যেই রয়েছে মালদা কোর্ট, হরিশ্চন্দ্রপুর, ভালুকা রোড এবং কুমেদপুর স্টেশন। নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হাত ধরে দেশ তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন রেল স্টেশনের খোলনলচে বদলে গেল। সোমবার অমৃত ভারত রেল স্টেশন (Amrit Bharat Station Scheme) প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। এই স্টেশনগুলির মধ্যে বাংলাও পাচ্ছে বেশ কয়েকটি।
এদিন হরিশ্চন্দ্রপুরে অমৃত ভারতের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। হরিশ্চন্দ্রপুরে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম বিজয় কুমার চৌধুরী, স্টেশন ম্যানেজার রাজ দেব রাম,উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু প্রমুখ। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। এমনকি মঞ্চে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় বিজেপির মন্ডল সভাপতিদেরও।যা নিয়ে শুরু বিতর্ক। কংগ্রেস এবং তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি রেলকে রাজনৈতিক মঞ্চ করে দিচ্ছে। এলাকার জন-প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ করা হয়নি। কিন্তু ডাকা হয়েছে বিজেপির নেতাদের। সরকারি অনুষ্ঠানে এই ধরনের দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে মোদির হাত ধরে বিভিন্ন রেল স্টেশনের খোলনলচে বদল
কংগ্রেস এবং তৃণমূলের অভিযোগ এতদিন এলাকায় সাংসদকে দেখা যায়নি। এখন এসে রেলের অনুষ্ঠানকে বিজেপির অনুষ্ঠান করে দিচ্ছেন। যদিও পাল্টা সাংসদ খগেন মুর্মুর দাবি, প্রত্যেক বিধায়ককে ডাকা হয়েছে।সাংসদ আরও বলেন জেলায় মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে এলে বিরোধীদের ডাকা হয় না। এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। কিন্তু বিজেপি সবাইকে নিয়ে চলে। সমগ্র ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
অন্য খবর দেখুন