কলকাতা: রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলগুলিতে ‘কিচেন গার্ডেন’ (Kitchen Garden) তৈরির নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দফতর (Education Department)। মিড-ডে মিলের মাধ্যমে স্কুল পড়ুয়াদের (Students) সুষম ও পুষ্টিকর শাক-শবজির জোগানের বিষয়ে স্কুলগুলোকে (School) স্বনির্ভর হতে বলেছে। স্কুল পড়ুয়ারা নিজে হাতে ওই আনাজ বড় কারার সুযোগ পেলে তাদের মধ্যে উদ্যম বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বিশিষ্ট মহল। পাশাপাশি তারা নিজদের হাতের তৈরি কীটনাশক বিহীন সবজি খেতে পারবে। এজন্য সব সরকারি (Government) ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে কিচেন গার্ডেন তৈরির নির্দেশ দিয়েছে।
এর এগে রাজ্য সকার সরাসরি নির্দেশিকা জারি না করলেও, বহুবার রাজ্যের স্কুলগুলিকে এই গার্ডেন তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছে। ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদে ২৩৪৮টি, পূর্ব মেদিনীপুরে ২৩৬৪টি ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৬১৩টি স্কুলে কিচেন গার্ডেন তৈরি হয়েছে। বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান ও পুরুলিয়ার স্কুলগুলিতে কিচেন গার্ডেন প্রকল্পে যথেষ্ট অগ্রগতিও হয়েছে।
আরও পড়ুন : Civic Volunteer | সিভিকদের জন্য নয়া নির্দেশিকা রাজ্য পুলিশের
তবে কলাকাতার অনেক স্কুল চলে ভাড়া বাড়িতে। অনেক স্কুলে আবার গার্ডেন তৈরির মতো পর্যাপ্ত জায়গাও নেই। সেই সব স্কুলগুলিতে কী ভাবে আনাজ ফলন করা সম্ভব হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকারারা। তবে সুত্রে খবর, কলকাতার বেশ কিছু স্কুল আনাজ চাষ করে যাচ্ছে। সন্তোষপুর ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাদে পটল, ঢ্যাঁড়সের চাষ হচ্ছে। পাশাপাশি আরও কয়েকটি স্কুলকে কিচেন গার্ডেনের উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে।
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হন্ডা বলেন, এমনিতেই মাথাপিছু বরাদ্দ কম। আগামী তিন মাসের যে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, তাতেও প্রতিদিন মাংস বা ফল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, মাথাপিছু দৈনিক বরাদ্দ যদি ২০ টাকাও হয় তাতে পড়ুয়াদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া সম্ভব হবে।