টোকিও: ইংরেজি নববর্ষ জাপানের শীতকালীন ছুটির একটি বড় উৎসব। তাপমাত্রার পারদ রাতের দিকে প্রায় ১ ডিগ্রির কাছে নেমে আসে। ফলে হাজার হাজার মানুষ ছুটি কাটাতে দেশের বাড়ি চলে আসেন কর্মক্ষেত্র শহর ছেড়ে। কিন্তু, এবার যে এরকম বিপত্তি ঘটবে, তা কেউ কি বুঝেছিলেন? একের পর এক ৪০টি কম্পন। সমুদ্রের ঢেউ উঠল ৫ মিটারের উপর। কোথাও প্রায় ৩ মিটার। শয়ে শয়ে বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। জখমের সংখ্যা বহু হলেও এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কোনও খবর মেলেনি।
বহু রাস্তার চিড়ে ফাঁক হয়ে গিয়েছে। ফাটল এতটাই চওড়া যে পথ দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। অন্যদিকে, ভূমিকম্পের পর থেকে প্রায় ৩৬ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন। ইশিকাওয়ার সুজু হাসপাতালে শয়ে শয়ে জখমকে নিয়ে আসা হয়েছে। হাসপাতালে কাজ চলছে নিজস্ব জেনারেটর চালিয়ে। নোটো বদ্বীপে ধ্বংসস্তূপের ভিতর ৬ জন আটকে রয়েছেন। জাপানের পরমাণু নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকার কোনও পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতি হয়নি।
আরও পড়ুন: রামকে দেবী জগদম্বার উপহার দেওয়া ‘অজয়বাণ’ তৈরি
বছরের প্রথম দিনেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৭.৬। সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার একাংশেও সুনামি সতর্কতা দিয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সমুদ্র উপকূলবর্তী মানুষকে যত দ্রুত সম্ভব উঁচু এলাকা বা বাড়িতে আশ্রয় নিতে বলেছেন। প্রশাসনের তরফে বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে।
সোমবার ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন সকলে যখন সৈকতে উৎসবে মেতেছিলেন, তখন দুপুরের ঠিক পরেই থরথর করে কেঁপে ওঠে উপকূলবর্তী এলাকা। উত্তর-মধ্য জাপানের ইশিকাওয়া, নাইগাতা এবং তোয়ামায় সুনামি সতর্কতা জারি হয়েছে। সমুদ্রে ৫ মিটার অর্থাৎ সাড়ে ১৬ ফুট উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।
রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, ইশিকাওয়া এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে। সম্পূর্ণ উল্টোদিকের উপকূল, রাজধানী টোকিওতেও তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে।
অন্য খবর দেখুন