বহরমপুর/ হাওড়া: তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে৷ এবার শাসক দলের নেতাদের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ বৃহস্পতিবার বহরমপুরের টেক্সটাইম মোড়ের জনসভা থেকে সুকান্ত জানান, এখানকার তৃণমূল নেতারা হাজারদুয়ারির মতো বাড়ি বানিয়েছেন৷ এক তৃণমূল নেতার নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সৌমিক হোসেন পেল্লায় বাড়ি বানিয়েছেন৷ ওই রকম হাজারদুয়ারি বাড়ি পাড়ায় পাড়ায় রয়েছে৷ তাই টিভিতে তৃণমূল নেতাদের বাড়ি দেখালেই বোঝা যায় কোথাকার খবর দেখানো হচ্ছে৷’ এখানেই থেমে থাকেননি সুকান্ত৷ শিক্ষক নিয়োগ এবং গরু পাচার কাণ্ডে হাজতবাসে থাকা তৃণমূলের দুই নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি৷ তিনি বলেন, ‘গরু দেখালেই বুঝবেন অনুব্রত৷ আর পেল্লাই বাড়ি দেখালে বোঝা যাবে তৃণমূল নেতাদের৷’
অন্যদিকে সাঁকরাইলের দলীয় সভা থেকে তৃণমূলকে চোর বলে কটাক্ষ করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম৷ তিনি বলেন, ‘রাজ্যের মানুষ জানত তৃণমূলের সবাই চোর৷ তবে এখন দেখা যাচ্ছে সেখানে চোরেদের শ্রেণিভেদ আছে৷ কেউ দিদির কাছের চোর৷ কেউ ভাইপোর কাছের চোর৷’ তাঁর অভিযোগ, সারদা আর নারদ কাণ্ডে যারা অভিযুক্ত সেই সব লোকেরা তৃণমূলের নেতা সাংসদ ও মুখপাত্র হয়ে বসে আছে৷ তৃণমূলের ছোঁয়া যেখানে যেখানে লেগেছে সেখানেই চুরি হয়েছে৷ সিপিএম এবং বিজেপিকে একহাত নিয়েছে তৃণমূল৷ জানিয়েছে, মানুষ ওদের ছুড়ে ফেলে দিয়েছে৷ জনপ্রিয়তা হারিয়ে তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা করা শুরু করেছে বিরোধীরা৷