Homeকলকাতারাজভবনের সামনে ধরনায় সরকারপন্থী শিক্ষাবিদরা

রাজভবনের সামনে ধরনায় সরকারপন্থী শিক্ষাবিদরা

Follow Us :

কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে রাজ্যপাল ধ্বংস করছেন, এই অভিযোগ সামনে রেখে শুক্রবার রাজভবনের (Raj Bhavan) সামনে প্রতীকী ধরনা বসলেন সরকারপন্থী শিক্ষাবিদ এবং প্রাক্তন উপাচার্যরা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose ) সংবিধান মেনে চলছেন না। তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই একতরফা ভাবে নিজের পছন্দের লোককে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে বসাচ্ছেন। কাউকে আবার সরিয়ে দিচ্ছেন। সরকারপন্থী শিক্ষাবিদদের দাবি, সংবিধান মেনে, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে রাজ্যপাল স্থায়ী উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগ করুন। এদিনের ধরনা কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র, সুবোধ সরকার, শিবাজীপ্রতিম বসু, উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম পাল, অভীক মজুমদার, প্রমুখ।

রাজভবনের নর্থ গেটের কাছে এই ধরনার ডাক দিয়েছিল উপাচার্যদের সংগঠন দ্য এডুকেশনিস্টস ফোরাম। এদিন যে সব প্রাক্তন উপাচার্য ধরনায় হাজির ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেককেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সরিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার তিনি অভিযোগ করেন, অনেক উপাচার্য দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, কেউ কেউ উপাচার্যের চেয়ারে বসে রাজনীতি করছিলেন। তাই তাঁদের সরিয়ে দিয়েছি। আরও অনেককে সরাব। শিক্ষাক্ষেত্রে মাফিয়ারাজ চলছে। তার বিরুদ্ধে আমার লড়াই চলবে। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।

আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথের ‘একলা চলো রে’ এবং ‘সজনি সজনি রাধিকা…’ বাজবে দ্রৌপদীর নৈশভোজের সঙ্গীতানুষ্ঠানে 

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্যপাল ও রাজ্যের সংঘাত চরমে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উষ্মা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, রাজ্যপাল যেভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করছেন, তা বেআইনি। রাজ্যপালের ভূমিকার বিরুদ্ধে তিনি রাজভবনের সামনে ধরনায় বসবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বেতন বন্ধেরও হুমকি দেন। এদিকে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে রাজভবনের মধ্যেই তাঁকে ধরনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিন ধরনা মঞ্চ থেকে শিক্ষাবিদরা বলেন, রাজ্যপাল শিক্ষাক্ষেত্রে অরাজকতা সৃষ্টি করছেন। যখন তখন যাঁকে তাঁকে তিনি উপাচার্য পদে বসাচ্ছেন, আবার সরিয়ে দিচ্ছেন। এতে শিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামো ভেঙে পড়ছে। আমরা চাই, শিক্ষাক্ষেত্রে এই অরাজকতা বন্ধ হোক। রাজ্যপাল সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন। 

RELATED ARTICLES

Most Popular