নয়াদিল্লি: গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক ভারতীয় নৌবাহিনীর আট প্রাক্তন কর্মীকে মুক্তি দিল কাতার (Qatar)। আটজনের মধ্যে সাতজন ইতিমধ্যেই দেশে দিরে এসেছেন। এই ঘটনাকে ভারতের (India) কূটনৈতিক জয় হিসেবেই দেখছে বিশেষজ্ঞ মহল। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক কাতারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। ওই আটজন দাহরা গ্লোবাল কোম্পানি (Dahra Global Company) নামে এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন।
বিদেশ মন্ত্রক (Ministry of Foreign Affairs) বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “কাতারে আটক দাহরা গ্লোবাল কোম্পানির কর্মী আট ভারতীয় নাগরিককে মুক্তি দেওয়াকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত সরকার। আটজনের সাতজন দেশে ফিরে এসেছেন। কাতার রাষ্ট্রের আমির তাঁদের মুক্তি এবং দেশে ফেরানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি।”
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ, সওয়াল রাশিয়ার
এই আটজনের প্রাথমিকভাবে ফাঁসির সাজা হয়েছিল। গত বছর ডিসেম্বর মাসে সেই সাজা পরিবর্তন করে কারাবাস দেওয়া হয়। ভারত সরকারের আবেদনের ভিত্তিতেই রদ হয়ে যায় ফাঁসির সাজা। তবে একেবারে মুক্তির জন্য বিশেষজ্ঞ মহল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ‘ফ্যাক্টর’ মনে করছে। দুবাইয়ে সিওপি-২৮ সামিটে (COP 28 Summit) গিয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মোদি।
The Ministry of External Affairs announced that Qatar has freed all eight former members of the Indian Navy, with seven already back in India.
The MEA has expressed strong appreciation for the Qatari judiciary’s decision to release these ex-naval personnel, who were originally… pic.twitter.com/eKTNFU1mzc
— SSBCrack (@SSBCrack) February 12, 2024
দেশে ফিরে নৌবাহিনীর মুখে তাই প্রধানমন্ত্রীর স্তুতি। ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনির সঙ্গে রাজধানীতে পা দিয়েছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন সবাই। একজন বললেন, “প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ না করলে আজ আমরা এই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম না। তাছাড়া ভারত সরকারও সারাক্ষণ প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে।” তাঁর এক সহকর্মী বলেন, “ভারতে ফেরার জন্য আমরা ১৮ মাস অপেক্ষা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তাঁর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ ছাড়া এটা সম্ভব হত না।”
মুক্তি পাওয়া আটজনের হলেন— ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত এবং নাবিক রাগেশ।