পুনে: অযোধ্যার রামমন্দিরের পর মথুরা ও কাশীর মন্দির মুক্ত হলে হিন্দুরা আর কোনও মসজিদে মন্দির গড়ে তোলার দাবি জানাবে না। অযোধ্যার শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ গোবিন্দদেব গিরি মহারাজ রবিবার এক অনুষ্ঠানে এই প্রতিশ্রুতি দেন। গোবিন্দদেব গিরি মহারাজের ৭৫-তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পুনেতে তাঁর শিষ্যরা ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশেষ উৎসবের আয়োজন করেছেন। সেখানেই এক সাংবাদিক সম্মেলনে গোবিন্দদেব গিরি মহারাজ একথা বলেন।
তাঁর জন্ম মহোৎসব উপলক্ষে হাজির থাকবেন সরসঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত এবং রবিশঙ্কর। কাঞ্চিমঠের জগৎগুরু শঙ্করাচার্য সোমবারই শোলাপুর থেকে পুনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। অর্থাৎ এই অনুষ্ঠানে দেশের তাবড় হিন্দু সাধুসন্ত এবং নেতৃত্ব হাজির থাকবে।
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে মহাগাঁটবন্ধনের ‘মহানাট্যমেলা’ আজ
জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে গোবিন্দদেব গিরি মহারাজের কথায়, মুসলিমদের কাছে আমি হাতজোড় করে অনুরোধ করছি। অযোধ্যা, জ্ঞানবাপী এবং কৃষ্ণ জন্মভূমি হিন্দুদের কাছে সব থেকে পবিত্র স্থান। বিদেশি আগ্রাসনকারীদের হাতে এই তিন হিন্দু তীর্থ আক্রান্ত হয়েছে। দেশের মানুষ তা নিয়ে ব্যথিত, যন্ত্রণায় ভুগছে। যদি মুসলিমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই ক্ষতে প্রলেপ দিতে পারে, তাহলে ভ্রাতৃত্ববোধ বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে তা সহায়ক হবে, বলেন মহারাজ।
তিনি আরও বলেন, আমি আবেদন রাখছি অযোধ্যার পর জ্ঞাপবাপী এবং মথুরার মসজিদ হিন্দুদের হাতে দিয়ে দিন। তাহলে বিদেশি আগ্রাসনের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত সাড়ে ৩ হাজার মন্দিরের কথা হিন্দুরা ভুলে যাবে। শান্তি বজায় রেখে মথুরা ও কাশী আমাদের হাতে দিয়ে দিন।
তিনি আরও বলেন, অতীত নয়, আমাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাঁচতে হবে। এই তিন মন্দির মুসলিম শাসকদের ধ্বংসের হাত থেকে উদ্ধার করা গেলে হিন্দুদের আর কিছু চাই না। দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে, যদি শান্তি ও ভালোবাসার মধ্য দিয়ে কাশী ও মথুরা মুক্ত হয়ে যায়। আমরা বাকি সবকিছু ভুলে যাব।
অন্য খবর দেখুন