রাজস্থান ও গুজরাত: গ্রেট ইন্ডিয়ান বাস্টার্ডের বিপন্নতায় উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট। হাই ভোল্টেজ তারের সংস্পর্শে এসে মৃত্যু হচ্ছে অনেক পাখির। অভিযোগ, আদালতের নির্দেশে বিদ্যুৎ সংবহন লাইনে ‘বার্ড ডাইভার্টার’ লাগানো হলেও বিশেষ লাভ হয়নি। সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের ওভারহেড বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে এলেই মারা যাচ্ছে পাখিগুলি। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশ ছিল, বিদ্যুৎ পরিবহণের তার মাটির তলা দিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা শীর্ষ আদালতে মামলা করে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার সহ রাজস্থান ও গুজরাত সরকারের অভিমত তলব করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
গ্রেট ইন্ডিয়ান বাস্টার্ড ভারী চেহারার পাখি। রাজস্থান ও গুজরাতের বিস্তীর্ণ তৃণভূমিতে এই পাখিগুলো কোনওমতে টিকে আছে। ২০১১ সালে এই পাখির সংখ্যা ছিল প্রায় ২৫০ টি। হিসাব অনুযায়ী ২০১৯ সালে এই পাখি ছিল প্রায় ১৫০ টি। ২০২৪ সালে সেই পাখি প্রায় লুপ্ত হয়ে যেতে বসেছে। তাদের বাঁচাতে আদালতের নির্দেশে বিদ্যুৎ সংবহন লাইনে ‘বার্ড ডাইভার্টার’ লাগানো হয়। কিন্তু তা বিশেষ কাজে আসছে না। কারণ এই পাখিগুলি আয়তনে বড় ও দৃষ্টিশক্তিও কম। ফলে উড়ন্ত অবস্থায় ভারী শরীর নিয়ে তারা দ্রুত দিক বদল করতে পারে না। হাই ভোল্টেজ তারের সংস্পর্শে এসে তাদের মৃত্যু হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দারুচিনির জলের গুণাগুণ জানলে অবাক হবেন
সংস্থাগুলির বক্তব্য, সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য রাজস্থান ও গুজরাতের এই এলাকাগুলো দেশের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেখান থেকে তৈরি হওয়া বিদ্যুৎ হাই ভোল্টেজের। সেই বিদ্যুৎ তারের মাধ্যমে মাটির তলা দিয়ে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক। সেই তারে কোনও কারণে লিকেজ দেখা দিলে মারাত্মক বিপর্যয় হতে পারে। বিপন্ন এই পাখিদের বাঁচাতে পক্ষী সংরক্ষণ কেন্দ্র করা যেতে পারে। কৃত্রিম উপায়ে তাদের প্রজনন করানো যেতে পারে বলে সংস্থাগুলির তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়।
আদালত বলে, যেভাবেই হোক সমাধানসূত্র বার করতে হবে। বিপন্ন প্রাণীগুলির অকালমৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। তাই সরকার কী ভাবছে, তা জানা প্রয়োজন। কেন্দ্র ও ওই দুই রাজ্য সরকার সহ আদালত গঠিত তিন সদস্যের কমিটিকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও অন্য খবর দেখুন