লখনউ: ধর্ষণের বদলা ধর্ষণ৷ হিন্দু মেয়েদের উত্যক্ত করা হলে রেহাই পাবে না অন্য সম্প্রদায়ের মহিলারা৷ তাদেরও ওই একই যন্ত্রণা ভুগতে হবে৷ প্রকাশ্য রাস্তায় এমনই গরম গরম ভাষণ দিয়ে অনুগামীদের হাততালি কুড়োলেও গেরুয়া বসনধারী এক সাধুর মন্তব্যে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ ওই সাধুর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে গর্জে উঠেছেন নেটিজেনরা৷ উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই সাধুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিস৷
চমকে ওঠার মতো ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের খৈরাবাদ শহরের৷ ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, গাড়ির ভিতর চালকের পাশের আসনে বসে মাইকে অনুগামীদের উদ্দেশে ভাষণ রাখছেন এক সাধু৷ বলছেন, ‘হিন্দু মেয়েদের উত্যক্ত করা হলে তোমাদের ঘর থেকে মহিলাদের বের করে এনে আমি ধর্ষণ করব৷ এই আমি খোলাখুলি বলে গেলাম’৷ সাধুর কথায় উল্লাসে ফেটে পড়েন তাঁর অনুরাগীরা৷ এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছি ছিক্কার পড়ে যায়৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন অনেকেই৷
ঘটনাটি বেশ কিছুদিন আগের৷ নবরাত্রি ও হিন্দু নববর্ষ উপলক্ষে গত ২ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের খৈরাবাদ শহরে অনুগামীদের নিয়ে মিছিল বের করেছিলেন বজরং দাস মুনি৷ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মিছিল যখন একটি মসজিদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তখনই ওই উস্কানিমূলক ভাষণ দেন বজরং দাস মুনি৷ এছাড়া তিনি আরও আপত্তিকর মন্তব্য করেন৷ ঘটনার তদন্তে নেমেছে সীতাপুর থানার পুলিস৷ অতিরিক্ত পুলিস সুপার রাজীব দীক্ষিতের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়েছে৷