পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার উত্তর মির্জাপুর গ্রামে এক ব্যক্তিকে ধরে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করল গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি আবাস যোজনার (Awaas Yojna) বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নিতেন। শুধু বাড়ি নয় শৌচাগার তৈরির জন্যও তালিকায় নাম আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা লুঠ করতেন (Extortion)। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান শুক্রবার ওই গ্রামে এসেছিলেন টাকা ফেরত দিতে। একথাও স্বীকার করেন যে তিনি পঞ্চায়েতে (Panchayat) প্রভাব খাটিয়ে নাকি বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও করে দিতেন।
গ্রামবাসীরা আরও অভিযোগ করেন শুধু টাকা নয়, গয়না দিয়েও সর্বস্বান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা বামদেব গুছাইতের বিস্ফোরক অভিযোগ, ধৃত ব্যাক্তি তৃণমূলের (AITC) স্থানীয় ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ। তার নাম করেই প্রভাব খাটিয়ে টাকা তুলতেন ধৃত ব্যক্তি। অবশ্য তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতি (Block President) রাজেশ হাজরা সে অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি ঘর থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ, হুগলির গোঘাট থানার বদনগঞ্জ এলাকায়। তাঁদের দাবি, তৃণমূল নেতাদের অঙ্গুলী হেলনে অসহায় যোগ্য প্রাপকরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই এই বেনিয়ম (Irregularity) বরদাস্ত হবে না, এমনই অভিযোগ তুলে গোঘাটের বদনগঞ্জ ফুলুই এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মানুষজন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে গোঘাট দুই ব্লকের বিডিও (BDO) দেবাশিস মন্ডল, পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষাল সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরাও তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন। গোঘাট থানার পুলিশ (Police) গিয়ে দীর্ঘক্ষণ পর পরিস্থিতি সামাল দেয়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্লাস প্রকল্পে সমীক্ষা (Survey) চলছে। তিন থেকে চারটি পর্যায়ে সার্ভে হয়েছে। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে যোগ্য প্রাপকরা তালিকা থেকে বঞ্চিত (Deprived)হয়েছেন। কৃষ্ণগঞ্জ এলাকার মহিলা বিক্ষোভকারীদের স্পষ্ট দাবি, তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই বেনিয়ম হচ্ছে। তাই সঠিকভাবে গৃহনির্মাণ প্রকল্প কার্যকরী করা হোক।