মুর্শিদাবাদ: ভোট দিতে গিয়ে লালগোলায় মৃত্যু হল এক সিপিএম কর্মীর। শনিবার দুপুরের ঘটনাটি ঘটে লালগোলার ময়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে মুরধিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে পুলিশ। এরপর পুলিশ পরিস্থিতি বুঝে ফের ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করে। সেইসময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের বারবার পরিস্থিতি নিয়ে তৎপর হতে বললেও তাঁরা কর্ণপাত করেননি বলেই অভিযোগ।
স্থানীয় সিপিএমের অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ রওশন আলি। আর সেই সময় তাঁকে বাধা দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এর প্রতিবাদে সিপিএম প্রার্থী প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করা হয়। তারপরেই গুরুতর অবস্থায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকেরা।
ঘটনার জেরে বুথে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। বন্ধ থাকে ভোটগ্রহণ। তবে আহত রওশনকে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শুরু হয় ভোটগ্রহণ।
এদিকে সিপিএম কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় ও তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি এই খুনের ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নন। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
পঞ্চায়েত ভোটের শুরু থেকেই রক্তের হোলি মুর্শিদাবাদ জুড়ে। মুর্শিদাবাদে ভোটের বলি পাঁচজন। গতকাল রাতে বেলডাঙ্গার এলাকার বাবর আলি নামে এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। পাশপাশি রেজিনগর থানার নাজিরপুর এলাকা থেকে তৃণমূল কর্মী ইয়াসিন শেখের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে বোমা মেরে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে এদিন সকালে খড়গ্রামের রতনপুরে সতরুদ্দিন শেখকে কুপিয়ে খুন করা হয়। তিনিও তৃণমুল কর্মী বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ভোটের হিংসায় আহত এক মহিলা সহ চারজন। তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।