দমনকাজে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার করা উচিত নয়। বললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। ‘এমনকী একদিনের জন্যও স্বাধীনতার বঞ্চনা অনেক বেশি। আমাদের সিদ্ধান্তের গভীর পদ্ধতিগত সমস্যা সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’ বলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনি চুক্তি সম্পর্কিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সোমবার এই মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, নাগরিকদের দমন ও হয়রান করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইন সহ ফৌজদারি আইনের অবব্যবহার উচিত নয়। যেমন আমি রাজ্য বনাম অর্ণব গোস্বামী সম্পর্কে আমার রায়টিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমাদের আদালতকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে তারা নাগরিকের স্বাধীনতা রক্ষা করতে প্রথম সারিতে থাকবে।
৮৪ বছরের স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভের মধ্যেই তাঁর এই মন্তব্য সামনে এল। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গত বছর গ্রেফতার হওয়া স্ট্যান স্বামী তাঁর স্বাস্থ্যের খারাপ হওয়ার কারণে জামিন পাওয়ার জন্য লড়াইয়ের মাঝেই মারা যান তিনি। আরও বহু মামলা যেখানে ইউএপিএ ব্যবহার হয়েছে সম্প্রতি শিরোনামে উঠে এসেছে। এমাসের শুরুতেই অসমের নেতা অখিল গগৈ দেড় বছর পর জেল থেকে ছাড়া পান। বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক বিক্ষোভের কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মুক্তির পরেই তিনি ইউএপিএর অপব্যবহারের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দেন।
অন্য একটি মামলায়, সন্ত্রাসের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া এক কাশ্মীরি যুবক ১১ বছর আইনি লড়াইয়ের পর, নিরপরাধ প্রমানিত হন। ‘ভারত বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহৎ গণতন্ত্র, যা বহু সংস্কৃতির আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে, বহু ভাষাভাষির সমাজ যেখানে তাঁদের সংবিধান গভীর প্রতিশ্রুতি এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রাখে।’ তিনি স্পষ্ট করেন। অনুষ্ঠানে দেশে ইউএপিএ অপব্যবহার না হওয়ার উপরই জোর দেন বিচারপতি।