জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি তিস্তার বন্যা পরিস্থিতির খানিকটা হলেও উন্নতি হল। বুধবার নদীর জলস্তর কমায় তিস্তার দু পার থেকেই উঠে গেল লাল সংকেত।
তবে, কেবলমাত্র তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকা দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত এলাকায় জারি রয়েছে হলুদ সতর্কতা। পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হওয়ায় বুধবার সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট লাল সতর্কতা তুলে নেয় সেচ দফতর। সেচ দফতর সূত্রে খবর, সন্ধ্যা ছ’টায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমান কমে দাঁড়াল ২৬৪০. ৯৬ কিউমেক।
আরও পড়ুন: সিকিম ঘুরতে গিয়ে মৃত্যু শিক্ষকের, দেহ ফেরাতে বিপাকে পরিবার
গত দু’তিন ধরে লাগাতার বর্ষণে জলমগ্ন উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। প্লাবিত জলপাইগুড়ি থেকে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার। তিস্তার জলস্ফীতিতে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে দার্জিলিঙে। সেবক থেকে সিকিম যাওয়ার জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ। পথ আটকে বেকায়দায় পর্যটকেরা।
দুর্গতদের উদ্ধার কাজে জলপাইগুড়িতে ইতিমধ্যেই মেনেছে এনডিআরএফের কর্মীরা। তিস্তা পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। তাঁদের সমস্ত খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: জয়গাঁওর কাছে ফুঁসছে তোর্সা, তলিয়ে গেল দুই শিশু
প্রায় দু’দিনের লাগাতার বর্ষণে জলস্ফীতি এবার কিছুটা কমায় স্বস্তি ফিরল এলাকাবাসীর মনে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এখনই থামতে নারাজ উদ্ধারকারীরা।