প্রায় সকলের অগোচরে চিরবিদায় নিয়েছেন নাট্য দুনিয়ার প্রথম সারির বেক্তিত্ব অভিনেত্রী শাঁওলি মিত্র। তিনি ছিলেন মঞ্চদুনিয়ার দিকপাল ব্যক্তিত্ব। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
শেষ বিদায় অনারম্বর ভাবেই যেনো হয়, এমনই নিয়মবিধি দিয়েছিলেন তিনি। শিল্পীর শেষ ইচ্ছের মর্যাদা দিয়েছেন তাঁর অনুগামীরা।
সোমবার বাংলার নাট্যজনেরা অভিনেত্রী শাঁওলি মিত্রর স্মরণ সভার আয়োজন করেছিলেন একাডেমীর মঞ্চে। যে মঞ্চ কাঁপিয়ে একদিন তিনি অভিনয় করেছেন, সেই আলো, মঞ্চ আজও তাঁর অপেক্ষায়। তবে তিনি না থাকলেও নবীন প্রজন্মের নাট্য ব্যক্তিত্বের মধ্যে থেকে যাবে তাঁর যাপন। শাঁওলি মিত্রর স্মরণে এসে প্রত্যেক নাট্য ব্যক্তিত্বর স্মৃতিচারণে উঠে এলো নানা অজানা কাহিনি। এই স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন নাট্যকার অভিনেতা রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী, দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, চৈতি ঘোষাল , অর্পিতা ঘোষ জগন্নাথ বসু উর্মিমালা বসু প্রমুখ নাট্য ব্যক্তিত্ব। একাডেমীর চত্বর থেকে মঞ্চ সব জায়গাতেই ভীষণভাবে রয়েছে তাঁর উপস্থিতি।
দেবেশ চট্টোপাধ্যায় থেকে চৈতি ঘোষাল নতুন প্রজন্মের সকলেই জানালেন, নাট্য ব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্রর কইছে যা শিখেছেন তাঁরা আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের উপর। শাঁওলি মিত্রর বহু লেখা এখন তাঁরা পেয়েছেন, সেই লেখা থেকে এক অন্য শাঁওলি মিত্রর খোঁজ পাচ্ছেন তারা। তাই সেই সব লেখা বই আকারে প্রকাশ করার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত প্রয়াত পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ ছবিতে ‘বঙ্গবালা’র চরিত্রে দেখা গিয়েছিল শাঁওলি মিত্রকে। অভিনয় করেছেন ‘বিতত বীতংস’, ‘ডাকঘর’, ‘পুতুলখেলা’, ‘একটি রাজনৈতিক হত্যা’র মতো একাধিক কালজয়ী নাটকে। অভিনয় সুবাদেই তিনি ২০০৯-এ পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত। এ ছাড়াও সম্মানিত হয়েছেন সংগীত-নাটক এ অকাদেমি এবং বঙ্গ-বিভূষণ সম্মানে।