কোপেনহেগেন: ডেনমার্কের রানি মারগ্রেথে (Queen Margrethe ) তাঁর আট নাতি-নাতনির মধ্যে চারজনের রাজপরিবারের খেতাব কেড়ে নিলেন। সে দেশের রাজপরিবারের পক্ষ থেকে এক ঘোষণায় একথা জানানো হয়েছে। রানির কনিষ্ঠ পুত্র যুবরাজ জোয়াকিমের চার সন্তান যাতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউরোপের (Europe) অন্যান্য দেশের রাজপরিবারেও রাজত্বের পরিধি সীমিত করতে এইরকম পদক্ষেপ নিয়েছে বিভিন্ন রাজপরিবার। উল্লেখ্য, ডেনমার্কের রানি মারগ্রেথে বর্তমানে ইউরোপের একমাত্র ক্ষমতাসীন রানি এবং তিনিই সবচেয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় আছেন রানি হিসেবে।
এক বিবৃতিতে রাজপরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, “২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যুবরাজ জোয়াকিমের উত্তরাধিকারীরা কাউন্ট এবং কাউন্টেস অব মোনপেজাট (Count and Countess of Monpezat) রাজখেতাব ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে, তাদের আগেকার খেতাব প্রিন্স এবং প্রিন্সেস অব ডেনমার্ক খেতাব তাঁরা ব্যবহার করতে পারবেন।”
আরও পড়ুন: Mahsa Amini Death: ইরান জ্বলছে, আন্দোলনকারীদের চরম হুঁশিয়ারি প্রেসিডেন্ট রাইসির
৫৩ বছর বয়সি যুবরাজ জোয়াকিমের দু’টি বিবাহ সূত্রে চার সন্তান রয়েছে –নিকোলাই, ফেলিক্স, হেনরিক এবং এথিনা। তাঁদের বয়স ২৩ থেকে ১০ বছরের মধ্যে।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রানি তাঁর চার নাতি-নাতনিদের জন্য একটি কাঠামো গঠন করতে চান, যাতে ভবিষ্যতে তাঁরা রাজপরিবারের খেতাবের বাধ্যবাধকতার গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশেষ সুবিধা না পেয়ে নিজেদের আলাদা পরিচিতি গড়তে পারেন। এই পদক্ষেপের সাপেক্ষে রাজপরিবারের যুক্তি, সাম্প্রতিক অতীতে অন্যান্য রাজপরিবারেও একই রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রানির এই সিদ্ধান্তে অবাক যুবরাজ জোয়াকিমের জ্যেষ্ঠ দুই সন্তানের স্ত্রী। ড্যানিশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাউন্টেস আলেকজান্দ্রা জানিয়েছেন, “আচমকাই এল এই সিদ্ধান্ত। সন্তানেরা নিজেদের বহিরাগত ভাবছে। তারা বুঝতেই পারছে না যে তাদের রাজখেতাব কেন তাদের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হল।”
তবে, রানির বড় ছেলে যুবরাজ ফ্রেডরিকের চার সন্তান যখন রাজা হবেন, তখন তাঁরা তাঁদের খেতাব ব্যবহার করতে পারবেন। ২০১৬ সালেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল অ্যাপানেজ (খেতাব) পাবেন যুবরাজ ক্রিশ্চিয়ান।