হাওয়াই: রাতের আকাশে হঠাৎই উদয় হল এক রহস্যময় আলোর। নীলচে আভার জিলিপির মতো সর্পিল ওই ওই আলো দেখে আশ্চর্য হয়ে যেতে হয়। তবে ভারত নয়, ওই আলো দেখা গিয়েছে হাওয়াই (Hawaii) দ্বীপের মাওনা কি (Mauna Kea) অবজারভেটরি থেকে। খালি চোখে নয়, রহস্যময় আলো ধরা পড়েছে অবজারভেটরির সুবারু-আসাহি টেলিস্কোপের স্টার ক্যামেরায়। উল্কা, ধূমকেতু, গ্রহাণু (Asteroid) অনেক কিছুই পৃথিবীর কাছাকাছি আসে, তা খালি চোখে দেখাও যায়। কিন্তু সেসবের সঙ্গে কোনও মিল নেই ওই সর্পিল আলোর। তবে কি ভিনগ্রহীদের যান?
অবজারভেটরির টাইম-ল্যাপস (Time Lapse) ভিডিয়োয় দেখা গেছে, আকাশের বাঁদিকের কোণে একটি বিন্দুর উদয় হল। তারপর সেটা কিছুক্ষণের মধ্যেই অনেকটা ধনুকের আকারের হয়ে পড়ল। এরপর বড় হতে হতে সেটা উজ্জ্বল স্পাইরাল হয়ে পড়ল। মিলিয়ে যাওয়ার আগে দূরদর্শনের লোগোর মতো দেখতে লাগল তাকে।
আরও পড়ুন: CR7: হারের দায় রোনাল্ডোর উপর চাপালেন কোচ, সৌদির মাঠে চলল মেসির নামে জয়ধ্বনি!
রহস্যময় আলোটা আসলে কী? মাউনা কি অবজারভেটরির গবেষকরা মনে করছেন, রাতের আকাশে এই আলোর উৎস স্পেস-এক্স (SpaceX) সংস্থার কৃত্রিম উপগ্রহ। অবজার্ভেটরির তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, স্পেস-এক্স সংস্থার নতুন উপগ্রহ লঞ্চই সম্ভবত এই আলো সৃষ্টির সঙ্গে সম্পর্কিত। কৃত্রিম উপগ্রহকে পৃথিবীর কক্ষপথে ছেড়ে আসা ফ্যালকন ৯ (Falcon 9) রকেটের ‘আপার স্টেজ’ পৃথিবীতে ফিরছিল। মহাসমুদ্রে অবতরণের আগে অপ্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল ছেড়ে দিচ্ছিল সেটি। সেই সময় আকাশে এটি ঘুরপাক খাচ্ছিল। তা থেকেই এই সর্পিল আলোর সৃষ্টি বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১ ফেব্রুয়ারি রাতের আকাশে দেখা যাবে মহাজাগতিক আলো। ৫০ হাজার বছর পর ফিরে আসছে সবুজ ধূমকেতু। সৌরজগতের শেষ প্রান্তে অবস্থিত উর্ট ক্লাউড (Oort Cloud) এর উৎস। এর আগে সেই প্রস্তর যুগে পৃথিবীর কাছাকাছি এসেছিল এই ধূমকেতু। তখন পৃথিবীর বুকে ঘুরে বেড়াত নিয়ানডার্থালরা (Neanderthals), অনেকটা মানুষের মতো এক বিলুপ্ত প্রজাতি। ১ ফেব্রুয়ারি সূর্যোদয়ের ঘণ্টাদুয়েক আগে উত্তর-পূর্ব আকাশে চোখে পড়বে এই ধূমকেতু।